বাদ পড়লেননা কেওই! তিন মন্ত্রী থেকে শুরু করে হেফাজত থেকে শাহবাগ সবার প্রশ্নের শক্ত জবাব হাসিমুখেই দিলেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রবিউল ইসলাম ও আজিজুল হাকিম বাদল, সময়ের কণ্ঠস্বর –
ভাস্কর্য
ইস্যুতে সব প্রশ্ন আর সমালোচনার এক এক করে সব শক্ত জবাব দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । হেফাজত থেকে শাহবাগ একইসাথে সদ্য আলোচিত
‘ভাস্কর্য না থাকলে মসজিদও থাকবেনা’ এমন বিষয়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে
প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায়। এমনকি পাশে বসে থাকা তিন মন্ত্রীর ‘সমালোচনার’
জবাবও বাদ পড়েনি প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় ।
রোববার
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)
ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে দুই সংগঠনের নেতা ও
সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান
মোনাজাত পরিচালনা করেন। ইফতার মাহফিল শেষে প্রধানমন্ত্রী সেখানে নামাজ
আদায়ের পর ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন
তিনি।
চলমান ইস্যু হেফাজতে ইসলাম ও
ভাস্কর্য্য ইস্যু নিয়ে বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হেফাজত কিংবা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে
আদর্শে ভিন্নতা ও মতবিরোধ থাকলেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দেশের সামগ্রিক
উন্নয়নের স্বার্থে এই দেশের অভিভাবক হিসেবে যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী
আরও বলেন, ‘যারা হেফাজতের সঙ্গে সরকার হাত মিলিয়েছে, চেতনা গেল গেল বলে
গলা ফাটাচ্ছেন; ৫ মে রাতে যখন হেফাজত শাপলা চত্বর দখল করেছিল তখন তারা
কোথায় ছিলেন? তারা কী চেতনাবোধ থেকে সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ভাবতে
পারেন আর কয়েক ঘণ্টা হেফাজতের দখলে থাকলে দেশের কী অবস্থা হতো। সেদিন আমি
নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে যা যা করণীয় তা করে হেফাজতমুক্ত করেছিলাম। সবার
মধ্যে আতঙ্ক ছিল কী হবে কী হবে? পরদিন অনেক মন্ত্রিসভার সদস্য ভয়ে
সচিবালয়মুখীও হননি।’
হেফাজতের সাথে ‘সখ্যতা’ প্রসঙ্গে সাফ জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক
নানা ইস্যু নিয়ে হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আদৌ কোনো চুক্তি হয়েছে কিনা
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে চুক্তি বা
সমঝোতার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সারা দেশের
প্রধানমন্ত্রী। আমি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করি না।
‘হেফাজতের সাথে ভোটের স্বার্থে আঃ লীগ আপোষ করেছে’ বিএনপির এমন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের মুসল্লিদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি। ৫ মে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এনে জড়ো করে সরকার পতনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ওদের বলা হয়েছিল ২শ’ গরু জবাই করে তাদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে। ছোট ছোট কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সারাদিন একটি রুটি আর কলা খাইয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’
‘হেফাজতের সাথে ভোটের স্বার্থে আঃ লীগ আপোষ করেছে’ বিএনপির এমন সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের মুসল্লিদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি। ৫ মে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এনে জড়ো করে সরকার পতনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ওদের বলা হয়েছিল ২শ’ গরু জবাই করে তাদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে। ছোট ছোট কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সারাদিন একটি রুটি আর কলা খাইয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’
তিনি
জানান, ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও বর্তমানে দেশের মানুষের উন্নয়ন বিশেষ
করে গ্রামের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের স্বার্থে তিনি হেফাজত ইসলামের নেতাদের
সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙিয়ে ওদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন।
ছাড়লেননা পাশে বসা তিন ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকেও!
বাস্তবতা
বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ
করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু
ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার
বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন।’
বিএনপির সমালোচনার জবাব
আলোচনায়
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি
নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে নাকি মাটি নেই! ১৯৪৯
সালে এদেশের মাটি ও মানুষের মধ্য দিয়ে, জনগণের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে
আওয়ামী লীগের জন্ম। আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে। অবৈধভাবে
ক্ষমতা দখলকারীর হাতে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের জন্ম সেই দলের
(বিএনপি) পায়ের নিচে মাটি থাকে না, সেটিই হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী আরও
বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে জন্ম রাজনৈতিক দল নয়।
তিনি
বলেন, ‘কওমি মাদরাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এতদিন তাদের
শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক
শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতে পারি না। তাই তাদের কাছে ডেকে কথা
বলেছি, ছয়টি শিক্ষাবোর্ড গঠন করে দিয়েছি। দেশকে শতভাগ শিক্ষিত করতে হলে
তাদের বাদ দেয়া সম্ভব না।’
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘সরকারের প্রতি ভুল ধারণা নিয়ে ওরা জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলালে দেশের
কী অবস্থা হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন। তারা এখন জঙ্গি দমনে সরকারের পাশে
থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি
দিচ্ছেন। এ উদ্যোগকে যারা সহজভাবে নিতে পারেন না তারা কী চান।’
তিনি
বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশটা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চলে গিয়েছিল। বর্তমান
সরকারের প্রচেষ্টায় সেই অবস্থা থেকে দেশকে উন্নত করে অন্তত ৭০ ডিগ্রি
অ্যাঙ্গেল ঠিক করা গেছে।’
ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান ‘পরিস্কার’ করলেন প্রধানমন্ত্রী
সুপ্রিম
কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয়
ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের যে স্থানটিতে গ্রিক গড অব থেমিসের আদলের
ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল সেই ভাস্কর্যের গায়ে শাড়ি পড়ানো হলো কেন?
ভাস্কর্য স্থাপনের আগে বাইরে থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথে দেশের
মানচিত্র দেখা যেতো। ওইটি স্থাপনের পর সেটি ঢেকে যায়। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহের
সামনে নামাজের সময় এটি দেখা গেলে দৃষ্টিকটু লাগতো। তাই ওটি সরানো হয়েছে।’
ভাস্কর্য্য ইস্যুতে শাহবাগ আন্দোলনকারীদের নিয়ে জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক
সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন সাবেক উপদেষ্টার আলোচিত বক্তব্য
নিয়ে হেফাআজতে ইসলামের ‘আলটিমেটাম’প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নাম উল্লেখ না
করে বলেন, ‘ভাস্কর্য সরানোর ফলে অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ধর্ম গেল
গেল বলে চিৎকার করছেন। আন্দোলন করছেন। কেউ কেউ ভাস্কর্য সরালে মসজিদও
সরাতে হবে এমন কথাও বলছেন।’
তিনি বলেন,
‘যাদের তিনি জিরো থেকে হিরো বানিয়েছিলেন তারা এখন আন্দোলন করছেন। তারা কী
ভুলে গেছেন শাহবাগে তাদের যখন হেফাজতিরা তাড়া করেছিল তখন তাদের ছাত্রলীগের
নেতাকর্মীরা বাঁচিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও
গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড।’
প্রধানমন্ত্রী
জানান, তিনি অনেক অপমান সহ্য করেছেন। এখন যারা এর বিরোধীতা করছেন আর যারা
পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি দু’পক্ষের কারও পক্ষে থাকবেন না। তারা আগে
মারামারি ও মল্লযুদ্ধ করে শক্তির পরীক্ষা করুক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এ
ব্যাপারে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে কিছু করতে মানা করেছেন। দু’পক্ষের শক্তির
পরীক্ষায় যারা আহত হবেন তাদের চিকিৎসা দেবেন।
সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহব্বান ও নির্দেশনা
নীতিহীন
সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, নীতিহীন সাংবাদিকতা কিংবা হলুদ সাংবাদিকতা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে
পারে না। কারণ এর ফলে দেশের ক্ষতি, জাতির ক্ষতি, মানুষেরও ক্ষতি।
এ
সময় বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন—
‘নীতিহীন রাজনীতি দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারে না। তেমনি নীতিহীন
সাংবাদিকতা দেশের কোনো কল্যাণ করতে পারে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে সমাজকে
ক্ষতিগ্রস্ত করে’।
সব সাংবাদিক হত্যার বিচার হবে জানিয়ে তিনি
বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার যেমন
হচ্ছে, তেমনি প্রতিটি সাংবাদিক হত্যার বিচারও হবে। অন্যায় করে কেউ পার পাবে
না।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে
সাংবাদিক হত্যাসহ অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই
সময় সাংবাদিকরা সত্যিই এক বিভীষিকাময় অবস্থা পার করেছেন। শত শত সাংবাদিক
অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও ওই সময়
একটিও সাংবাদিক হত্যার বিচার করা হয়নি।
সাংবাদিকদের
কল্যাণে তার সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আমরা সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করে দিয়েছি। ৭ কোটি টাকার
সিড মানি দিয়েছি। তথ্য অধিকার আইন করে দিয়েছি। সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প
হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। আগে মামলা হলেই সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হতো। মামলা
হলেই যেন সংবাদপত্রের মালিক-সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে না পারে সে জন্য আইন
সংশোধন করেছি। এর ফলে গ্রেফতার নয়, সমন দেওয়া হবে।
তিনি
বলেন, সাংবাদিকদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য জমির ব্যবস্থার
চিন্তাভাবনা রয়েছে। উত্তরায় রাজউকের ফ্ল্যাটের কিছু রাখতে বলেছি, সেখান
থেকে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি দিয়ে সাংবাদিকরা ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন।
নবম
ওয়েজবোর্ড ঘোষণাসংক্রান্ত সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আমরা
ইতিমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের কথা বলেছি। কিন্তু মালিকপক্ষ থেকে তাদের
প্রতিনিধি না দেওয়ায় প্রক্রিয়া থেমে আছে। এখানে সরকারের কোনো দোষ নেই।
গণমাধ্যম মালিকদের বলব, আপনারা প্রতিনিধি দিন। প্রতিনিধি পেলেই আমরা
ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করব।
তিনি
বলেন, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকেও এই নবম ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনতে হবে। নিজেকে
সাংবাদিক পরিবারের একজন সদস্য উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন,
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তিনিও তার পেশাজীবন সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু
করেছিলেন।
সে কারণে আমি সবসময় দাবি করি— আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন সদস্য।
তিনি
বলেন, সাংবাদিকতার নীতি থাকতে হবে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস
করি। সবকিছু নিয়ে সমালোচনা হয়, কেউ আপনাদের কিছু বলে না। কই অন্য সময় তো তা
পারেননি কখনো। আওয়ামী লীগের সময়ে পারেন। টকশোতে সত্য-মিথ্যা দিয়ে ইচ্ছামতো
কথা বলে যান। আমরা কখনো বাধা দিই না।
প্রস্তাবিত
বাজেটে কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার
বাজেট আমরা দিয়েছি। এই বাজেট নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। বাজেট পার্লামেন্টে
আলোচনা হবে, হয়তো কিছু সমস্যা থাকতে পারে, নিশ্চয়ই তা আমরা দেখব, সমাধান
করব।
বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান
বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর
ফারুক, ডিইউজের সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
এ
সময় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল
ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী
আবুল কালাম আজাদসহ রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র
সাংবাদিক ও সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাহাত খান, বাসসের প্রধান
সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ
সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম,
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু প্রমুখ।
সাংবাদিক
নেতাদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ
সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া,
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ
ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, খালিদ মাহমুদ
চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, সানজিদা খানম
এমপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কামরুল
আহসান খান, পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর প্রমুখ।