রোহিঙ্গা সংকট নতুন করে শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত একবারও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিশেষ কিছু বলি নি,আমি আসলে অপেক্ষা করছিলাম নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে কি আদায় করতে পারে,তা দেখার জন্য।দেখলাম।
বিগত ১১ বছর ধরে বাংলাদেশের নিজস্ব কোন পররাষ্ট্রনীতি নাই।ভারত যখন যা করতে বলেছে,বাংলাদেশ তখন তাই করেছে।এর প্রধান কারন,গত ১১ বছর ধরে বাংলাদেশে জনগনের প্রতিননিধিত্বশীল কোন সরকার নেই।
এর মধ্যে,২০১৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশে কোন বিরোধী দলেরও অস্তিত্ব নেই।রাবার স্ট্যাম্প বিরোধী দলকে যদি কেউ বিরোধী দল মনে করতে চান,তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
একটা জনসমর্থনবিহীন সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সমর্থনের প্রয়োজন হয়,সেই সমর্থন কেউ মুফতে দেয় না,প্রয়োজন হয় লেনদেনের।
সেই লেনদেন বিগত এগারো বছরের মধ্যে প্রায় সাত বছর ধরে বাংলাদেশ এক ভারত ছাড়া কারো সাথে করে নি,এবং ভারতের সাথেও যা করেছে,তার পুরোটাতেই বাংলাদেশ সরকার সম্পুর্নভাবে ভারতের স্বার্থই রক্ষা করেছে।ফলে দিন দিন বাংলাদেশ আরো বেশি ভারত নির্ভর হয়ে পড়েছে।
এই মুহুর্তে বাংলাদেশের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি বলে কিছু নেই,যা আছে তা হল কেবলই নিয়মরক্ষা।
বাংলাদেশ চীনের সাথে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের কাজের যে চুক্তি ছিল,তা বাতিল করায় চীন বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে নিজ স্বার্থ রক্ষায় মিয়ানমারের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ওদিকে ভারত ভূ-কৌশলগতভাবে চীনের হাতে নিজের ঘেরাও হওয়া ঠেকাতে মিয়ানমারে বিনিয়োগের মতলবে আছে।
আরাকান ভূ-কৌশলগতভাবে মিয়ানমার আর বাংলাদেশের মাঝখানেই শুধু না,মালাক্কা প্রনালীর সরাসরি উত্তরে এবং চীনের ইউনান প্রদেশ থেকে বঙ্গোপসাগরের সবচাইতে কাছেও অবস্থিত।
এই জায়গাটা ভারত কোনভাবেই চীনকে,এবং চীন ভারতকে ছাড়তে চায় না।
চীন জানে,বাংলাদেশে যতদিন আওয়ামী লীগ সরকার আছে,তারা বাংলাদেশ থেকে কিছু পাবে না।
ভারত জানে,যতদিন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আছে,ততদিন বাংলাদেশের সাথে নেগোসিয়েশনে আসার কোন ঠেকা তাদের নাই,কারন আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যাপারে ভারতের ওপর নির্ভরশীল।ভারত বেজার হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত মিত্র হল ইউএসএ,আর স্বাভাবিকভাবেই,রাশিয়া তাই এখানে চীনের পক্ষে থাকবে।
সব মিলিয়ে,রাশিয়া,ভারত বা চীন,কারোই নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারকে সমর্থন না করে বাংলাদেশকে সমর্থন করার কোন মানে নাই।বাংলাদেশের ভিক্ষাসর্বস্ব পররাষ্ট্রনীতির বিপরীতে চীন বাংলাদেশকে ৫৩ টন ও ভারত সাতশো টন ত্রাণ পাঠিয়েছে,গরু মেরে জুতো দানের মত।
আওয়ামী লীগ ১৮ জনের প্রতিনিধি দল পাঠাবার পরেও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের পক্ষে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি এই ৫৩ টন ত্রান পাঠাবার তুলনা চলে কেবলমাত্র গরীবের মেয়েকে ধর্ষনের পর গ্রাম্য সালিশে হাতে বিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে।
বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেবে আমার জানা নাই,তবে আন্তর্জাতিক মহলের 'কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের' আশায় বসে না থেকে বাংলাদেশের উচিত নিজের সামরিক বাহিনীর কোমরের জোর বাড়াবার পদক্ষেপ নেয়া।
দেশের দুই প্রধান শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সুরক্ষার জন্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী,সেই সাথে কক্সবাজার ও বান্দরবানে সেনা উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি করা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
এই রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জনগনের গালে থাপ্পড় মেরে বুঝিয়ে দিয়েছে,জনসমর্থনবিহীন পরজীবী সরকার দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা অসম্ভব।
©Prince Muhammad Sajal Facebook
বাংলাদেশ চীনের সাথে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের কাজের যে চুক্তি ছিল,তা বাতিল করায় চীন বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে নিজ স্বার্থ রক্ষায় মিয়ানমারের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ওদিকে ভারত ভূ-কৌশলগতভাবে চীনের হাতে নিজের ঘেরাও হওয়া ঠেকাতে মিয়ানমারে বিনিয়োগের মতলবে আছে।
আরাকান ভূ-কৌশলগতভাবে মিয়ানমার আর বাংলাদেশের মাঝখানেই শুধু না,মালাক্কা প্রনালীর সরাসরি উত্তরে এবং চীনের ইউনান প্রদেশ থেকে বঙ্গোপসাগরের সবচাইতে কাছেও অবস্থিত।
এই জায়গাটা ভারত কোনভাবেই চীনকে,এবং চীন ভারতকে ছাড়তে চায় না।
চীন জানে,বাংলাদেশে যতদিন আওয়ামী লীগ সরকার আছে,তারা বাংলাদেশ থেকে কিছু পাবে না।
ভারত জানে,যতদিন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আছে,ততদিন বাংলাদেশের সাথে নেগোসিয়েশনে আসার কোন ঠেকা তাদের নাই,কারন আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যাপারে ভারতের ওপর নির্ভরশীল।ভারত বেজার হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত মিত্র হল ইউএসএ,আর স্বাভাবিকভাবেই,রাশিয়া তাই এখানে চীনের পক্ষে থাকবে।
সব মিলিয়ে,রাশিয়া,ভারত বা চীন,কারোই নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারকে সমর্থন না করে বাংলাদেশকে সমর্থন করার কোন মানে নাই।বাংলাদেশের ভিক্ষাসর্বস্ব পররাষ্ট্রনীতির বিপরীতে চীন বাংলাদেশকে ৫৩ টন ও ভারত সাতশো টন ত্রাণ পাঠিয়েছে,গরু মেরে জুতো দানের মত।
আওয়ামী লীগ ১৮ জনের প্রতিনিধি দল পাঠাবার পরেও নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের পক্ষে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি এই ৫৩ টন ত্রান পাঠাবার তুলনা চলে কেবলমাত্র গরীবের মেয়েকে ধর্ষনের পর গ্রাম্য সালিশে হাতে বিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে।
বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেবে আমার জানা নাই,তবে আন্তর্জাতিক মহলের 'কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের' আশায় বসে না থেকে বাংলাদেশের উচিত নিজের সামরিক বাহিনীর কোমরের জোর বাড়াবার পদক্ষেপ নেয়া।
দেশের দুই প্রধান শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সুরক্ষার জন্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী,সেই সাথে কক্সবাজার ও বান্দরবানে সেনা উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি করা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
এই রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জনগনের গালে থাপ্পড় মেরে বুঝিয়ে দিয়েছে,জনসমর্থনবিহীন পরজীবী সরকার দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা অসম্ভব।
©Prince Muhammad Sajal Facebook