হোটেল ও বেকারিগুলো খোলা থাকবে। কারণ বহু মানুষের রান্নার ব্যবস্থা নেই। মাঠপর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পাঠানো বার্তায় এসব কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. শফিকুল ইসলাম।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় একজন নাগরিক যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খাবারের দোকান খোলা থাকা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এই শহরে অনেকেই আছেন, যাঁদের রান্নার সুযোগ নেই। তাঁরা তো আর না খেয়ে থাকতে পারবেন না। তাই খাবারের দোকান খোলা রাখা যাবে।
এ ক্ষেত্রে খাবার কিনে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি বসে খেতে চান, সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর বাইরে আরও যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগেই জারি ছিল।
হোটেল ও বেকারি খোলা রাখাসহ ঢাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশকে যে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে, তা হলো—হোটেল ও বেকারি সচল রাখার জন্য যাঁরা সেখানে কাজ করেন, তাঁদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে, তাঁদের কর্মীদেরও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
একজন ব্যক্তি যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করত হবে।
জরুরি দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সহকারী ও টেকনিশিয়ান, সিটি করপোরেশন ও নিরাপত্তা প্রহরীদের ব্যাপার বিশেষ যত্নশীল হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনের সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে পেশাদারী আচরণ করতে।
সুত্র