আব্দুস সালাম (জয়), ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন খালিশপুর বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০১ জন পলাতক আসামী-১।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৮ই অক্টোবর শুক্রবার আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০১ জন পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানাধীন খালিশপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
নজরুল ইসলাম নজু (৩৯), পিতা- অমিদুল মন্ডল, সাং- ভালাইপুর (খাঁ পাড়া), থানা- মহেশপুর, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এই মামলার বাদী মোছাঃ চুমকি বেগম ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় হাজির হয়ে ২১ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫জন আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন যে, গত ইং ১২/০৯/২০২৪ তারিখ রাতে মহেশপুর থানাধীন ০১নং এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামস্থ তৌহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা গরু চুরির উদ্দেশ্যে গিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে আহত করে পালিয়ে যায়।
এছাড়া একই রাতে তার প্রতিবেশী সুমন খান এর বাড়ি হতে দুইটি গরু চুরি হয়।
উক্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা বাদীর স্বামী, ভিকটিম রাশেদ শেখ (৩৮), পিতা-মিঠু শেখ ও ভিকটিমের চাচা মোঃ বজলুর রহমান এবং ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ রাজদুল ইসলাম শেখ দেরকে চোর সাব্যস্ত করে খুজতে থাকে।
উক্ত তারিখ সকালে ভিকটিম বাড়ি হতে মটর সাইকেল যোগে খালিশপুর বাজারে যাওয়ার সময় মহেশপুর থানাধীন এসবিকে ইউনিয়নে ভালাইপুর গ্রামস্থ রাহাতুল্লাহ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আসামীগন একত্রিত হয়ে ভিকটিমের গাড়ি থামিয়ে মারার চেষ্টা করলে ভিকটিম ভয়ে দৌড়ে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে আসামীরা সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে।
ভিকটিমের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এবং বাড়ি থেকে ভিকটিমের চাচা ও ছোট ভাইকে মারতে মারতে ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। আসামীগন ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে কাঠের বাটাম দিয়ে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম ও ভিকটিমের চাচা এবং ছোট ভাইকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম রাশেদ শেখকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন