শিবালয় নয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি প্রমাণিত ৩ মাসের বেতন কর্তন
স্টাফ রিপোর্টার :
শিবালয় উপজেলা ঐতিহ্যবাহী নয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার এক মাসের বেতন-ভাতা কর্তন করা হয়েছে। ছাত্র ভর্তি ফরম, ভর্তি-পুনঃ ভর্তির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা সরকারী অংশের ৪০ হাজার ৮৪০ টাকা কর্তন করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে প্রতি ছাত্রের নিকট থেকে অতিরিক্ত ৯০ টাকা হারে আদায় করা হয়। ভর্তি ও পুনঃ ভর্তির নামে ৮শ’ শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১০০ টাকা হারে আদায় করা হয়। এ নিয়ে আপত্তি উঠলেও প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন কর্ণপাত না করে টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টা চালায়। স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুর রহমান তদন্তের নির্দেশ দিলে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিয়ার রহমান মল্লা অভিযোগেরে সত্য পাওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর চিঠি প্রেরণ করেন।
মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মাধ্যমিক-২ এসএম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত পত্রে এ বছর ১৫ জুলাই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেন। সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা কর্তনের নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, উক্ত প্রধান শিক্ষক ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়-মাঠ সংস্কার বাবাদ ২০ হাজার ও বিশেষ অনুদানের ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করায় ২০২৩ সালে মে মাসে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন-ভাতা কর্তন করা হয়। এছাড়া, স্কুলের আয়-ব্যয়ে অসংগতি, দাতা ভোটর গঠন, ভোটার তালিকা সংশোধন না করা, শিক্ষক-কর্মচারীর দায়িত্ব পালনে বাধা ও অভিভাবক প্রতিনিধি মনোনয়নে অনিয়ম করায় ওই বছর ডিসেম্বর মাসে তার বেতন-ভাতা কর্তন করা হয়।
প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ পেয়ে তাকে চাকুরীচ্যুত এবং আত্মসাতকৃত অর্থ উদ্ধারের আদেশ না দিয়ে এ যাবৎ তিন মাসের বেতন কর্তন করায় সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এতে, অপরাধী পুন:অপরাধে উৎসাহিত হবে বলে সচেতন মহল মত দিয়েছে। প্রকাশ, এ সংক্রান্ত একাধিক রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল খায়ের জানান, উক্ত প্রধান শিক্ষকের আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা মহা-পরিচালক অফিসের এমপিও কমিটির সিদ্ধান্তে বেতন-ভাতা কর্তনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন