
ইসরাইলি হামলায় নতুন করে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন গাজার বাসিন্দারা। চারদিকে লাশের সারি, অসংখ্য হতাহত মানুষ। কিন্তু নেই যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা। এমনকি মিলছে না ব্যথানাশক ওষুধও। অনেক মানুষের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই! কোনো হামলা ছাড়া (যুদ্ধবিরতি থাকায়) ঈদ উদযাপন করার আশা ছিল গাজার শিশুদের। কিন্তু ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে গাজার বাসিন্দাদের সব আশা রক্তের সাথে ভাসিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী (বাঁয়ে) ও শায়খ আহমাদুল্লাহ।
মুফতি জাকারিয়া হারুন
সামাজিক সাহায্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন,
গাজা ইস্যুতে মুসলিম নেতাদের নির্লজ্জ নীরবতা তাদের মুনাফেকিকেই প্রকট করে তোলে। হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনি এসব জুলুমের পরিণতি দেখে যাওয়ার তাওফিক দিন।
মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লেখেন, আমরা যখন রসনাবিলাসী ইফতার-সাহরি আর ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন আরেক প্রান্তের মুসলিম ভাইবোনদের ওপর সাহরির ওয়াক্তে বর্বরোচিত বোমা হামলা করল মানুষ নামের পশুগুলো।
সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৪০৪। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর জন্য তড়পাচ্ছে আরও অসংখ্য মানুষ। গাজার আজকের ভোরের মতো বিষণ্ন ও শোকতপ্ত ভোর বোধহয় পৃথিবীতে আর কোনোদিন আসেনি।
সারি সারি পড়ে থাকা ক্ষতবিক্ষত শিশুদের লাশে ভোরের বাতাস ভারী। তা দেখে পাষাণ হৃদয়ও কেঁপে কেঁপে উঠছে। অথচ যে অমানুষগুলোর হাতে এই রক্তের দায়, তারা বধির হয়ে আছে।
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে, রমাদান মাসে, রোজাদারদের ওপর এই নৃশংসতা যারা চালাল, তাদের ওপর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর লানত।