October 13, 2025
Screenshot 2025-03-21 202204

ডার্ক এনার্জি রহস্যময় এক শক্তির নাম। এই শক্তির কারণেই মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটছে। এই শক্তি এমনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, যা আমাদের বর্তমান জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে আছেন তাঁরা। ডার্ক এনার্জিবিষয়ক এই আবিষ্কার বর্তমানে প্রচলিত তত্ত্বের সঙ্গে বেশ বিরোধপূর্ণ।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ওফার লাহাভ বলেন, এটি একটি নাটকীয় মুহূর্ত বলা যায়। আমরা মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছি। ১৯৯৮ সালে ডার্ক এনার্জির আবিষ্কার বেশ চমকপ্রদ একটি বৈজ্ঞানিক ঘটনা ছিল। তখন পর্যন্ত ধারণা ছিল, মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে বিগ ব্যাং বিস্ফোরণ থেকে। এরপর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের গতি ধীর হয়ে যাবে। কিন্তু মার্কিন ও অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মহাবিশ্ব আসলেই গতিশীল। বিজ্ঞানীদের কোনো ধারণা ছিল না এই গতিশীলতার পেছনে কোন শক্তি আছে। তখন সেই শক্তির নাম দেওয়া হয় ডার্ক এনার্জি।

এখনো বিজ্ঞানীরা ভালো করে জানেন না ডার্ক এনার্জি আসলে কী। আর তাই বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় রহস্যের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই শক্তিকে। মহাবিশ্বে থাকা গ্যালাক্সির ত্বরণ পর্যবেক্ষণ করে ডার্ক এনার্জির গতি পরিবর্তিত হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করে থাকেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত কিট পিক ন্যাশনাল অবজারভেটরিতে থাকা ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কোপিক ইনস্ট্রুমেন্ট টেলিস্কোপের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

গত বছর বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় ডার্ক এনার্জিকে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হতে দেখেন। বিজ্ঞানীরা তখন এটিকে কোনো ত্রুটি ভেবেছিলেন। এক বছর পরে দেখা যাচ্ছে সেই পরিবর্তনের ব্যবধান বেড়েছে। এ বিষয়ে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ক্যাথরিন হেইম্যান বলেন, ‘ডার্ক এনার্জি আমাদের ধারণার চেয়েও অদ্ভুত বলে মনে হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *