October 13, 2025
News1

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে ফাঁকা চট্টগ্রাম নগর। বেশিরভাগ নগরবাসী নাড়ির টানে এখনো গ্রামের বাড়িতে। এর প্রভাব পড়েছে নগরের বাজারগুলোতেও। প্রায় ক্রেতাশূন্য সবকটি বাজার।

শনিবার ( ৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ঈদের লম্বা ছুটিতে সরবরাহ না থাকায় বাজারে নতুন সবজি কম। দরদামের পার্থক্যও অনেক। পুরানো সবজি বিক্রি করে দিতে পারলেই যেন বাঁচেন বিক্রেতা! অন্যদিকে হাতেগোনা ক্রেতা দেখা গেছে গোশতের দোকানে।

তবে ঈদের আগের দিনের তুলনায় কিছুটা দাম কমলেও স্থিতিশীল দরে আসেনি মুরগি ও গরুর গোশত।

নগরের কর্নেলহাট, অলংকার, ঝাউতলা ও বহদ্দারহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাশূন্য বাজারে বেশিরভাগ দোকান এখনো বন্ধ। সবজির বাজারে কেজিপ্রতি মানভেদে কচুরমুখী ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৬০, করলা ৬০ থেকে ৮০, কাঁকরোল ৭০, পটল ৪০ থেকে ৫০, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৮০, বরবটি ৬০, লাউ প্রতিটি ২০ থেকে ৪০, পেঁপে ২০ থেকে ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০, ঝিঙে ৬০ ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ছিল ২৩০। আর সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ এবং খাসি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কর্নেলহাট বাজারের বিক্রেতা রিপন বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাজার এরকমই থাকবে। আমরাও নতুন করে সবজি খুব কম তুলছি। আগেরগুলোই বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। নতুন-পুরানো মিলিয়ে বিক্রি করছি। রবিবারের পর থেকে আশা করি বিক্রি শুরু হবে।’

অলংকার বাজারের বিক্রেতা মে. সেলিম বলেন, ‘বাজার এখন খুব খারাপ। আমরা বসে বসে হাজিরা দিচ্ছি। বেচাকেনা নাই। সবজির বাজারে লেবু আর শসা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। শাক-সবজির দাম প্রায় অর্ধেক নেমে এসেছে। কিন্তু কেনার মানুষ নেই। পুরানো সবজিতো কোনো রকমে বিক্রি করতে চাচ্ছি। তাই যে কজন ক্রেতা আসছেন, তারাও দরদাম করছেন। পারলে, বিক্রি করে দিচ্ছি।’

মো. লিয়াকত নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘দাম অনেক কম। মন চাচ্ছে থলে ভরে বাজার করি। কিন্তু ঘরে খাওয়ার মানুষ নাই। তাই আধা কেজি ঢেঁড়স নিলাম ১০ টাকায়। এছাড়া শসা আর একটা মুরগি নিলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *