
যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও তাদের ভিসা বাতিল করেছে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এদের একজন্ নারী শিক্ষার্থী, যিনি ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ায় অভিযোগে এবং আরেকজন চুরির মামলা সংক্রান্ত কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিবাসনবিরোধী ফেডারেল অভিযানে।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও এটর্নী মঈন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেছেন, ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের কারণে আটক শিক্ষার্থীর মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া চুরির মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাস কয়েক আগে দোকান থেকে ৭০ ডলারের পণ্য চুরির সময় ধরা পড়েছিলেন। সেই মামলায় দোষ স্বীকার করার পর মাননীয় আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন। তাকেও গত সপ্তাহে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছে এবং তার ভিসা বাতিল করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়েছে বাংলাদশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।
এদিকে সম্প্রতি জেএফকে এয়ারপোর্টে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় ডজন খানেক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রিন কার্ডধারী, স্টুডেন্ট ভিসাধারীও ছিলেন।
এ পরিস্থিতিতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন কিংবা ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় আসছেন, তাদেরকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে এটর্নী মঈন চেšধুরী বলেন, “গ্রিন কার্ডধারীরা বছরের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস না করলে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন এয়ারপোর্টে। সম্প্রতি বেশ ক’জনকে থামানোর পর মুচলেকা নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ তারা বছরের ১০ মাস যুক্তরাষ্ট্রে না থাকলে গ্রিন কার্ড কেড়ে নেওয়া হবে।”
এরকম পরিস্থিতিতে শুধু অবৈধ অভিবাসী নন, অভিবাসনবিরোধী অভিযানে অনেক গ্রিন কার্ডধারীও ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন।