
নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজারে প্রবেশে ক্ষেত্রে ফেডারেল পর্যায়ের বাধাবিপত্তি দূর করার নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। একিসাথে দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উৎসাহ দিতে পৃথক আদেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার হোয়াইট হাউযের ওভাল অফিসে এ-সংক্রান্ত একাধিক আদেশে সই করেন তিনি। একচেটিয়া ব্যবসার পরিবর্তে, সাধারণ মানুষ ও ভোক্তাদের স্বার্থে কাজ করবে এমন বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
আদেশে সইয়ের আগে হোয়াইট হাউযের স্টাফ সেক্রেটারি উইল শার্ফ বলেন, বর্তমানে অনেক নিয়ম-কানুন রয়েছে যা হয় সরাসরি একচেটিয়া ব্যবসাকে উৎসাহিত করে অথবা নতুন উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট বাজারে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এসব নিয়মাবলীর সামগ্রিক প্রভাব ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর উল্লেখ করেন তিনি।
তাই বিদ্যমান নীতিমালা, যেন নতুন ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতার জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে লক্ষ্যে- সংশ্লিষ্ট সব ডিপার্টমেন্ট ও এজেন্সিকে ফেডারেল ট্রেড কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং জাস্টিস ডিপপার্টমেন্টের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে আদেশে।
পাশাপাশি, দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প পুনরুদ্ধারের জন্য আলাদা নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এসময় তিনি জানান, এই প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। ট্রাম্প বলেন, জাহাজ নির্মাণে অ্যামেরিকা যথেষ্ট সক্ষমতা থাকলে, এত দিন খাতটিকে গুরুত্বকে দেয়া হয়নি।
প্রতিরক্ষা খাতের ক্রয় পদ্ধতি আধুনিকায়ন করা সংকান্ত আদেশে সইয়ের আগে প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে অস্ত্র সরঞ্জাম কেনা হয়; অথচ সেগুলো দেখতেও ভালো না। এছাড়াও এদিন আরো বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে জারি করেন প্রেসিডেন্ট। যার মধ্যে পানি সংরক্ষণ সংক্রান্ত বাইডেন প্রশাসনের প্রবর্তিত কিছু নিয়ম বাতিল করেছেন তিনি। ওই নিয়মগুলোকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান ইরান উন্নতি করুক, কিন্তু তাদের কোন পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারবে না। প্রয়োজনে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও, আবারো জানান তিনি। তাঁর ঘোষিত পাল্টা শুল্ক স্থগিত করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জানান, বুধবার সকালে কমার্স সেক্রেটারি এবং ট্রেযারি সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হয়। অ্যামেরিকা ও বিশ্বের জন্য এটিকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি।