
চায়নাছাড়া বাকি দেশগুলোর ওপর থেকে চড়া শুল্ক স্থগিতের ঘোষণায় নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অ্যামেরিকার পুঁজিবাজার। কয়েকদিনের লোকসান কাটিয়ে বুধবার দিনশেষে এসএন্ডপি ফাইভ হানড্রেডের সূচক বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। ডাউ জোন্সের সূচকে উত্থান হয়েছে ৩ হাজার পয়েন্টের উপরে।
আর ন্যাসড্যাক তো গত ২৪ বছরের মাঝে সবচেয়ে ভালো দিন পার করেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্টকমার্কেট। তারা বলছেন, চায়নাছাড়া অন্য দেশগুলোর ওপর থেকে চড়া শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত রাখায় পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এদিকে নীল শিবিরের সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন শেয়ারবাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে কোন জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে স্বাধীন তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
গত কয়কেদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস ঠেকাতে শুল্ক থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও পিছু হঠতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তাছাড়া রিপাবলিকানপার্টির মাঝেই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে কঠোর অবস্থানের তীব্র সমালোচনা। সবশেষ মন্দা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের উৎকন্ঠা এবং জনজীবনে মূল্য-স্ফীতির প্রভাব।
অবশেষে গঞ্জনই সত্য হলো। চায়নাছাড়া বাকি দেশগুলোর ওপর থেকে চড়া শুল্ক ৯০ দিনের জন্য উঠিয়ে নিলেন ট্রাম্প। তাঁর এই এক সিদ্ধান্তে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ধসের মুখে থাকা পুঁজিবাজার অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বুধবার দিনশেষে গত কয়েকদিনের লোকসান কাটিয়ে এসএন্ডপি ফাইভ হানড্রেডের সূচক বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
ডাউ জোন্সের সূচকে উত্থান হয়েছে ৩ হাজার পয়েন্টের ওপরে। আর ন্যাসড্যাকতো গত ২৪ বছরের মাঝে সবচেয়ে ভালো দিন পার করেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন বলছে ২০০৮ সালের অক্টোবরের পর এসএন্ডপি ফাইভ হানড্রেডের সূচকে একদিনে এত বড় ধরণের উত্থান দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের এক সিদ্ধান্তেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্টকমার্কেট। তারা বলছেন, চায়নাছাড়া অন্য দেশগুলোর ওপর থেকে চড়া শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত রাখায় পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তবে ইয়েল ল স্কুল এবং মর্গান স্ট্যানলি এশিয়ার সাবেক চেয়ার স্টিফেন রোচ মনে করেন, এই স্থগিতাদেশে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার উপশম হবে না। কারণ বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি চায়না সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা এর শেষ দেখে ছাড়বে। সেক্ষেত্রে বড় বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এদিকে নীল শিবিরের সেনেটর এলিজাবথে ওয়ারেন শেয়ারবাজার থেকে ট্রাম্প এবং তাঁর ধনী ব্যবসায়িরা অর্থ হাতিয়ে নিতে কোন জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে স্বাধীন তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
বুধবার সেনেট ফ্লোরে ওয়ারেন বলেন, হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারে ধস নামিয়ে জনতার পকেট খালি করে, কয়েকদিনের মাথায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় প্রকৃতপক্ষে কারা উপকৃত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকরা।
ওদিকে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম ক্যালামোসের প্রধাননির্বাহী জন কডুনাস সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতি আয়োভান জানিয়েছেন, তারা যেন আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে না দেন। তাতে দিনশেষে তাদেরই ক্ষতি হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।