
বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর ঘোষিত, উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের জন্য দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, পাল্টা হুঁশিয়ারি এবং দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের পর; অবশেষে মিত্র ও বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত ২ এপ্রিল ঘোষিত ট্রাম্পের নতুন এই শুল্কনীতি বুধবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বুধবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান- তাঁর শুল্ক ঘোষণার পর ৭৫টিরও বেশি দেশ কমার্স, ট্রেযারি ও ইউএস ট্রেড রেপ্রেজেন্টেটিভ কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছে এবং তারা অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিবেচনায়, তিনি ৯০ দিনের জন্য ঘোষিত শুল্ক স্থগিত করেছেন এবং এই সময়ের জন্য পাল্টা শুল্কের হার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
তবে, অ্যামেরিকার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চায়না, বিশ্ব বাজারের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করে আসছে দাবি কোরে, দেশটির ওপর আরোপিত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার কথা জানান প্রেসিডেন্ট। এই সিদ্ধান্তও অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন- অদূর ভবিষ্যতে চায়না উপলব্ধি করবে যে- অ্যামেরিকা ও অন্যান্য দেশকে শোষণ করার দিন শেষ।
পরে হোয়াইট হাউযের বাইরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, ট্রেযারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে সফল আলোচনার কৌশল প্রয়োগ করেছেন, তার ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্ত পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের অবিচল থাকতে পারা অত্যন্ত সাহসের কাজ বলে প্রশংসা করেন। সেক্রেটারি জানান, বিশ্বের যেকোনো দেশ আলোচনায় আসতে চাইলে, তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত তারা।
চায়নাকে অ্যামেরিকার বাণিজ্যের প্রধান সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। চলমান উত্তেজনাকে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ না বললেও, কমার্স সেক্রেটারির মতে, চায়নাই বিষয়টিকে উস্কে দিয়েছে। স্কট বেসেন্ট আরো বলেন, বেশিরভাগ মিত্র দেশের প্রতিক্রিয়ায় তারা অভিভূত হয়েছেন। আশা করছেন সেরা প্রস্তাব নিয়েই আসবেন তারা।
তবে, শেয়ার বাজারে অস্থিরতার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ক স্থগিত করেননি বলে দাবি করেন বেসেন্ট। তিনি জানান, দেশগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সরাসরি আলোচনা করতে চান। এর আগে, অ্যামেরিকান ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে- চায়নার সঙ্গে জোট বাঁধার বিষয়ে অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করেন বেসেন্ট।