October 13, 2025
tbn24-20251002222241-4807-US Capitol flag

সর্বশেষ বুধবার থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনটি ১৯৮১ সালের পর ১৫তম। এর আগে অ্যামেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে।

অ্যামেরিকায় নতুন অর্থবছর শুরু হয় ১ অক্টোবর, বুধবার রাত ১২টায়। এর আগে ফেডারেল সংস্থাগুলো চালাতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট, কিন্তু এ সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে যথেষ্ট পরিমাণ ভোট না পড়ায় ফেডারেল সরকারে শাটডাউন শুরু হয় বুধবার থেকে।

অর্থায়নের ৫৫-৪৫ বিলটি পাসে দরকার ছিল আরও ৬০টি ভোট, কিন্তু তা না হওয়ায় দৃশ্যত অচল হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার।

রয়টার্স জানায়, বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাটদের ভাষ্য, যেকোনো ব্যয়ের বিলে অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্টের আওতায় ভর্তুকির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। চলতি বছরের শেষের দিকে এ ভর্তুকি শেষ হতে চলেছে। বিষয়টি ঠিক করার আগে ২৪ মিলিয়ন বা দুই কোটি ৪০ লাখ অ্যামেরিকানের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বাড়বে ব্যাপকভাবে।

রিপাবলিকানরা জানান, তারা ভর্তুকির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে চান, তবে অর্থায়নের বিলের বাইরে রাখতে চান বিষয়টিকে।

তাদের অভিযোগ, ভোটারদের তুষ্ট করতে ডেমোক্র্যাটরা বাজেটকে জিম্মি করতে চাইছেন।

এমন বাস্তবতায় বুধবার সরকারকে ২১ নভেম্বর নাগাদ অর্থায়নের জন্য রিপাবলিকানদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সিনেট। এ ছাড়া বাড়তি স্বাস্থ্য সুবিধা যুক্ত করে ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান হয় ভোটাভুটিতে।

সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন

সর্বশেষ বুধবার থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনটি ১৯৮১ সালের পর ১৫তম। এর আগে অ্যামেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বিবাদের জেরে হওয়া শাটডাউন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। ৩৫ দিনের এ অচলাবস্থা শেষ হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।

সে সময় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য কংগ্রেসের কাছে পাঁচ দশমিক সাত বিলিয়ন তথা ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছিলেন ট্রাম্প, কিন্তু দাবিকৃত সে অর্থ আদায় করতে পারেননি তিনি।

এমন বাস্তবতায় ফেডারেল সরকারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দপ্তর সচল করতে সম্মত হন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তার এ বিস্ময়কর পিছু হটা রাজনৈতিক জয় এনে দেয় ডেমোক্র্যাটদের।

যদিও তিন দিন আগে ট্রাম্প বলছিলেন, ‘আমরা নতি স্বীকার করব না।’

বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, ওই সময়ের অচলাবস্থার জন্য প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেন বেশির ভাগ অ্যামেরিকান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *