October 13, 2025
Untitled-1-68e09c237e5c7

অবরুদ্ধ গাজায় আরও ভয়াবহ গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে) এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি।

ইসরাইলের বর্বর হত্যাযজ্ঞে কয়েকদিন আগেই গাজায় ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যেই নতুন করে সেখানে আরও বড় গণহত্যার সতর্কতা দিলেন লাজ্জারিনি।

বললেন, প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দাকে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যবস্তু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। এই পদক্ষেপকে ‘ভয়াবহ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।

গাজায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যেই নতুন এ মন্তব্য করলেন তিনি।

পোস্টে লাজ্জারিনি আরও বলেন, ‘কারও কাছে বেসামরিক নাগরিক হত্যার লাইসেন্স নেই। গাজায় চলমান অপরাধের জবাব দিতেই হবে।

জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যেই বিষয়টি গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।’

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার সহিংসতা বন্ধ এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লাজ্জারিনির সতর্কীকরণ জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সবচেয়ে তীব্রতম সতর্কীকরণ। বিষয়টি আন্তর্জাতিক উদাসীনতার প্রতিফলন।

এর আগে বুধবার ইউএনএআরডব্লিউ জানিয়েছে-ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এর পাশাপাশি অনাহার এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে মারা যাচ্ছে অনেকে।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে লাজ্জারিনি জোর দিয়ে বলেন ‘চলমান অপরাধের নথিভুক্তিকরণ অব্যাহত রাখতে হবে’ এবং ‘দুর্ভোগের কথা শুনতে হবে এবং এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’ এছাড়াও জাতিসংঘ আবারও বলেছে গাজায় কোনো নিরাপত্তা নেই।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণে নিরাপদ অঞ্চলের ধারণাটি প্রহসনমূলক’।

গাজা উপত্যকার বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আকাশ থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে, যার ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন; অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসাবে মনোনীত স্কুলগুলো নিয়মিত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। তাঁবু … নিয়মিতভাবে বিমান হামলার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *