
আফগানিস্তানের দেওয়া ২৯৩ রানের পাহাড়চূড়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। সিরিজ খোয়ানোর পাশাপাশি এবার হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পেল মিরাজরা
ইনিংসের একদম শুরু থেকেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেট পড়ার মিছিল থামেনি একবারও। ব্যাটাররা কেউই বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। একমাত্র সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত লজ্জাজনকভাবে ২০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার- কারও মধ্যেই ছিল না ধৈর্য কিংবা আত্মবিশ্বাস। ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ধীরে খেলেও (৭ রান, ২৪ বল) রানের চাকা সচল রাখতে পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৩), তরুণ তাওহীদ হৃদয় (৭) ও মেহেদী মিরাজ (৬) দ্রুত বিদায় নেন।
কেবল সাইফ হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৪৩ রান (২ চার, ৩ ছয়)। তবে অন্য প্রান্তে কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। বাকিরা সবাই ছিলেন ব্যর্থ। কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ৯৩ রানে।
আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে পেসার বিলাল সামি তুলে নেন ৫ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে আফগান ওপেনাররা। রহমতুল্লাহ গুরবাজ ৪২ রান করে তানভির ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন। এরপর ইব্রাহিম জাদরান একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ১১১ বলে ৯৫ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। তবে রানআউট হয়ে তিনি সেঞ্চুরি পাওয়ার আশা ভঙ্গ করেন।
তৃতীয় উইকেটে সোহরাব আতাল করেন ২৯ রান, কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে দ্রুতই উইকেট হারায় আফগানরা। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি (২) ও ইকরাম খিল (২) দ্রুত আউট হন।
তবে শেষ দিকে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। মাত্র ৩৭ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। তার সঙ্গে ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন আজমাতউল্লাহ ওমরজাই (২০) ও নূর আহমেদ খারোতে (১০)। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ২৯৩ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন সাইফ হাসান। তিনি মাত্র ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তানভির ইসলাম ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ২ উইকেট, মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ১টি উইকেট।