October 14, 2025
699-68edf5a3c54d8

মিসরের শারম এল-শেইখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিরসনে অগ্রগতি অর্জনের পর বিশ্বনেতারা একত্রিত হন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মধ্যস্থতার ভূমিকার প্রশংসা পান। তবে আলোচনার চেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে ঘিরে তার মন্তব্য, যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড়।

বক্তৃতার সময় ট্রাম্প উপস্থিত বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে মেলোনির প্রতি ব্যক্তিগত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে এক নারী আছেন, এক তরুণী। আমি আসলে এটা বলার অনুমতি পাই না, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নারীকে সুন্দর বললে সাধারণত সেটিই হয় আপনার রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি।

এরপর মেলোনির দিকে ঘুরে ট্রাম্প যোগ করেন, আমি ঝুঁকি নিচ্ছি, কিন্তু বলতে চাই— আপনি সত্যিই সুন্দরী। আশা করি এতে আপনি কিছু মনে করবেন না। এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ, আমি কৃতজ্ঞ।

এই মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ট্রাম্পের প্রশংসাকে অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেন, বিশেষত মেলোনির মুখের অভিব্যক্তি দেখে অনেকে ধারণা করেন, তিনি এতে তেমন সন্তুষ্ট ছিলেন না।

একই সম্মেলনে মেলোনির আরেকটি ভিডিওও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে হাস্যরসাত্মক আলাপ করতে দেখা যায়। পাশে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ভিডিওতে এরদোগান মেলোনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে দেখতে চমৎকার লাগছে, তবে আমি আপনাকে ধূমপান ছাড়তে বাধ্য করব। মেলোনি তখন হাসতে হাসতে জবাব দেন, আমি জানি, আমি জানি।

ট্রাম্প ও এরদোয়ানের সঙ্গে এই দুই ভিন্ন মুহূর্তের ভিডিওর কারণে মেলোনি সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। শারম এল-শেইখের এই সম্মেলন ছিল ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত প্রশমনে এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগ, যেখানে ট্রাম্প অন্যান্য বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমার বন্ধু, অসাধারণ মানুষ। যদিও কয়েকজন আছেন যাদের আমি তেমন পছন্দ করি না — তবে কে তারা, সেটা বলব না।

এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল গাজায় শান্তি পুনঃস্থাপন, তবে ট্রাম্পের মন্তব্য ও মেলোনির সঙ্গে তার মিথস্ক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *