October 17, 2025
৩-দেশ (1)

পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গঠিতব্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে (International Stabilization Force) সৈন্য পাঠানোর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়ার নাম এগিয়ে আছে। প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছেন এক(active) ও এক সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যদিও ওই তিন দেশকে শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবু এখন পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের সম্মতি জানাননি। সূত্রবহ জানানো হয়েছে যে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও মিশরের সৈন্যরাও পরিকল্পনায় যুক্ত হতে পারে এবং প্রয়োজনীয় হলে এসব দেশের সেনারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একটি ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে অবস্থান করবে—যায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

ইন্দোনেশিয়া এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে একমাত্র দেশ যারা সৈন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছে; তারা জানিয়েছে, জাতিসংঘের অনুমোদন হলে শান্তিরক্ষী মিশনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে পলিটিকো টীকা করেছে যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা বা ম্যান্ডেটের উল্লেখ নেই।

ট্রাম্প নিজেও এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে হামাসকে নিরস্ত্র করাই এখন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ এবং তিনি দাবি করেছেন যে তিনি হামাসের সঙ্গে কথা বলেছেন ও বলিয়েছেন ‘ওরা নিরস্ত্র হবে’—অথবা নিরস্ত্র না হলে নিরস্ত্র করে তোলা হবে। প্রতিবেদনে মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন মুখপাত্রের মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো বলেন, এখনই আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর কাঠামো নির্ধারণ এবং সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে সামনে আনা যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন—ম্যান্ডেট নির্ধারণ, অংশগ্রহণকারী দেশ চূড়ান্ত করা এবং সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তুতির তৎপরতা প্রদর্শন করলে পরিকল্পনার প্রতি আস্থা ফিরবে।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় যুদ্ধবিরতির পর হামাসকে অস্ত্র সমর্পণে বাধ্য করার একটি কৌশল অগ্রসর করছে—এটি যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্পষ্ট সম্মতি ও ম্যান্ডেট ছাড়া যে কোনো বহুদলীয় সৈন্য মোতায়েন জটিল কূটনৈতিক, আইনগত ও নিরাপত্তাগত প্রশ্ন উত্থাপন করবে—বিশেষত যদি মিশনে জাতিসংঘের অংশ না থাকে বা মাঝে কোনো বহুমুখী আইনগত কাঠামো না থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *