
বাংলাদেশ নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করবে—এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরে। গত সপ্তাহে সরকারি সবুজ সংকেতও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা বাজেটের আসর আয়োজনে সরকারি বরাদ্দ প্রায় ৫ কোটি টাকা।
২০১২ সালে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম সংস্করণ। সে আসরে বাংলাদেশ ছিল পঞ্চম স্থানে। সাড়ে ১০ কোটি টাকা বাজেটের আসর কি শুধু অংশগ্রহণের মঞ্চই! বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে এ আসর খেলবে বাংলাদেশ দল। তার সুফল হিসেবে সাফল্য আসবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপনের অংশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৫ নভেম্বর শুরু হয়ে আসর শেষ হবে ২৫ নভেম্বর। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারী কাবাডি বিশ্বকাপে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও আর্জেন্টিনা, চায়নিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জাঞ্জিবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া স্ট্যান্ডবাই দল হিসেবে রয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম, কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি ও আইজিপি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হক।
কাবাডি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারী বিশ্বকাপের জন্য এরই মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়াম বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদেশি দলগুলোর আগমন, প্রস্থান, নিরাপত্তা, আবাসন ও স্থানীয় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম নারীদের বিশ্বকাপ হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়ে বলেন, ‘নারীরা খেলবে। তাই বিষয়টা অনেক সেনসেটিভ। নিরাপত্তার বিষয়টা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করব।’
বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘সরকারের যথেষ্ট সাপোর্ট আছে। সার্বিক বিষয়ে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ সাধারণ সম্পাদক আশা করছেন সফলভাবে বিশ্বকাপ শেষ করে কাবাডি ফেডারেশনের ফান্ড বাড়ানো সম্ভব হবে।
আসরের ম্যাটে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল বর্তমানে বিকেএসপিতে নিবিড় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘কাবাডির বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। দুই অথবা তিনে যাওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। আমরা যেন সে জায়গায় যেতে পারি সে চেষ্টাই থাকবে।’