October 16, 2025
6

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদনও করেছেন তিনি।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) তার বোন নওরীন খান বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজের।

রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার পর নওরীন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাম্প্রতিক পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষে পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা কষ্ট পেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা আফগানিস্তানের সঙ্গে দেশের সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তাকে এর জন্য প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে।’

নওরীন বলেন, ‘পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা আফগান নাগরিকদের পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করার বিষয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

পিটিআই এবং ইমরান খান দীর্ঘদিন ধরে দেশব্যাপী হামলায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য জোর দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি অভিযোগ করেছে যে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আফগানিস্তানভিত্তিক তেহরিক–ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সন্ত্রাসীদের দেশেই বসতি স্থাপনের সুযোগ দিয়েছিলেন। তার সরকার পতনের পর এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি এই দুই দলের।

পিটিআই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের নেতারা বলছেন, পরিকল্পনাটি শুধু আলোচনা সীমিত ছিল এবং বাস্তবায়িত হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিয়মিতভাবে তালিবান শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে আফগানিস্তানের মাটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার না হয়।

ইমরান খানের এই প্রস্তাব এল এমন এক সময় যখন পাকিস্তানি বাহিনী সাম্প্রতিক কয়েক দিনে আফগান বাহিনী এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গ্রুপের হামলা প্রতিহত করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। তার আগে, আফগান বাহিনী পাকিস্তান সীমান্তে গুলি চালায়।

তবে দুই পক্ষ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় আপাতত সংঘাত বন্ধ আছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তান ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্মত হয়েছে, যা স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *