October 16, 2025
modi-1760596809

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনের সেই দাবির জবাবে ভারত জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের মত এক নয়। নয়াদিল্লির মতে, অস্থির বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের জ্বালানি নীতির প্রধান লক্ষ্য।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারত জ্বালানি তেল ও গ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকারক দেশ। অস্থির জ্বালানি পরিস্থিতিতে ভারতীয় ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের ধারাবাহিক অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতি সম্পূর্ণভাবে এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত।
তিনি আরও বলেন, ‘স্থিতিশীল জ্বালানি মূল্য এবং নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের জ্বালানি নীতির দুটি মূল লক্ষ্য। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের জ্বালানি উৎসের বহুমুখীকরণ এবং বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী তা সমন্বয় করা।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহু বছরের প্রচেষ্টা রয়েছে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানো বিষয়ে। গত এক দশকে এতে ধারাবাহিক অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনও ভারতের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা গভীর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলমান।’

এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তিনি বলেন, ‘তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে রাশিয়া থেকে আর তেল কেনা হবে না। তবে এখনই নয়, কারণ এটি কার্যকরে কিছুটা সময় লাগবে, তবে প্রক্রিয়াটি খুব শিগগির শেষ হবে।’

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার সমালোচনা করে আসছে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বহুবার স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারত কেবল নিজের নাগরিকদের জন্য সেরা চুক্তিই খুঁজছে। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর ‘দ্বৈত নীতি’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, বলেন ‘ইউরোপের সমস্যাই যেন বিশ্বের সমস্যা, কিন্তু বিশ্বের সমস্যা ইউরোপের নয়-এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের অন্যতম কারণ। অন্যদিকে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলোও সরব হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘মোদিজি ট্রাম্পকে ভয় পান।’ তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। বারবার অপমানিত হওয়া সত্ত্বেও অভিনন্দন বার্তা পাঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *