October 16, 2025
tbn24-20251016123953-5921-germany - 2025-10-16T183524.048

সংস্থাটির তালিকাভুক্ত দারুচিনি পণ্য গ্রাহকদের কাছে থাকলে তা দ্রুত ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দেশের জনপ্রিয় মসলার মধ্যে একটি হচ্ছে দারুচিনি, তবে এবার কিছু ব্র্যান্ডের দারুচিনিতে উচ্চ মাত্রার সিসা থাকার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির খবর সামনে এসেছে।

সিবিএস নিউজ জানায়, গত সপ্তাহে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) আরও চারটি দারুচিনির ব্র্যান্ডকে সতর্কতাসূচক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই নতুন ব্র্যান্ডগুলো হলো হায়টেই, রোশনি, ডুরা ও ওয়াইজ ওয়াইফ।

এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি ব্র্যান্ডের দারুচিনিতে সিসার বিপজ্জনক পরিমাণ থাকার কারণে সতর্কতাসূচক তালিকায় নাম এসেছে।

এফডিএ বলছে, এ পণ্যগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিরাপদ নাও হতে পারে এবং রক্তে সিসার মাত্রা বাড়াতে পারে।

এফডিএ জানিয়েছে, হায়টেই ব্যতীত সব কোম্পানিকে স্বেচ্ছায় পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এফডিএর তালিকাভুক্ত ১৬টি দারুচিনি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১০টি ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

সংস্থাটির তালিকাভুক্ত দারুচিনি পণ্য গ্রাহকদের কাছে থাকলে তা দ্রুত ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উচ্চ মাত্রার সিসাযুক্ত দারুচিনি গুঁড়োর ব্র্যান্ডগুলো হচ্ছে- রোশনি, হায়টেই, ডুরা, ওয়াইজ ওয়াইফ, জিভা অর্গানিকস, সুপার ব্র্যান্ড, এল চিলার, মার্কাম, সুপ্রিম ট্র্যাডিশন, এসডব্লিউএডি, আসলি, সুপ্রিম ট্র্যাডিশন, কোম্পানিয়া ইন্ডিলোর ওরিয়েন্টাল, এএলবি ফ্লেভার, শাহজাদা, স্পাইস ক্লাস ও লা ফ্রন্টেরা।

এফডিএর তথ্য অনুসারে, কয়েক মাস বা তার বেশি সময় ধরে সিসার উচ্চতর স্তরের ক্রমাগত সংস্পর্শে আসার ফলে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এর ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকিসহ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সিসা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *