
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেছেন, তিনি আট মাসে আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। তবে এরপরেও নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো প্রেসিডেন্ট কখনো একটি যুদ্ধও থামাতে পেরেছেন। আমি গত আট মাসে আটটি যুদ্ধ থামিয়েছি। কিন্তু কি আমি নোবেল পুরস্কার পেয়েছি? না। বিশ্বাস করা যায়?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী বছরটা হয়তো ভালো হবে। কিন্তু জানেন, আমার কাছে আসলে কী গুরুত্বপূর্ণ? আমি হয়তো লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি।’ এর আগে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময়ও তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি গাজা যুদ্ধবিরতিসহ বিশ্বের আটটি সংঘাত সমাধানে ভূমিকা রেখেছেন।
ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব আবারও নিজের বলে দাবি করেছেন। তার মতে, শুল্ক আরোপের হুমকির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি বাণিজ্যের মাধ্যমে। যেমন, ভারত ও পাকিস্তান ভয়াবহভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। সাতটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছিল। আমি তখন দুই দেশের সঙ্গেই কথা বলেছিলাম বাণিজ্য নিয়ে। বলেছিলাম, যুদ্ধ না থামালে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হবে না।’
তিনি ফোনে উভয় দেশকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যদি যুদ্ধ না থামাও আমরা তোমাদের সব পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বসাব। কারণ আমি এই যুদ্ধের অংশ হবো না। ওরা দুটোই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।’ ট্রাম্প জানান, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ—দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছেন। পরদিনই তাকে ফোন করে জানানো হয়, দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন বাণিজ্যে ‘অসাধারণভাবে সফল’ এবং শুল্ক থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার আয় করছে এবং এই শুল্কনীতি যুদ্ধ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘এই শুল্কনীতি আমাদের দেশকে আরও মানবিক করেছে। আমি যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে শুল্ক ব্যবহার করতে ভালোবাসি। আমি যুদ্ধ থামাতে ভালোবাসি।’
বক্তৃতার একপর্যায়ে ট্রাম্প ভারতে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত এখানেই আছেন। তারা ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু মনে রেখো, তুমি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে, ওদের নয়… তবে সার্জিও দারুণ কাজ করবে, দারুণ কাজ।’