
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিনিয়োগ প্রতিনিধি দিমিত্রিয়েভ বৃহস্পতিবার এ প্রস্তাব পেশ করেন।
রাশিয়া ও অ্যামেরিকার মধ্যে সংযোগ স্থাপন, একসঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান এবং দুই দেশের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বেরিং প্রণালির নিচ দিয়ে ‘পুতিন-ট্রাম্প রেলপথ‘ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ কূটনৈতিক কিরিল দিমিত্রিয়েভ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিনিয়োগ প্রতিনিধি দিমিত্রিয়েভ বৃহস্পতিবার এ প্রস্তাব পেশ করেন।
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-আরডিআইএফের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান এ ব্যক্তি তার প্রস্তাব পরিকল্পনায় জানান, ৭০ মাইল দীর্ঘ এ রেলপথটি তৈরি করতে আট বছরের কম সময় লাগতে পারে। প্রযুক্তি উদ্যক্তা ও ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’র অধীনে রেলপথটি তৈরি করতে সম্ভাব্য খরচ হবে আট বিলিয়ন ডলার।
এশিয়া ও উত্তর অ্যামেরিকাকে আলাদা করা জলপথ বেরিং প্রণালির সবচেয়ে সরু অংশটি রাশিয়ার চুকোৎকা অঞ্চল ও অ্যামেরিকার আলাস্কা অঞ্চলকে আলাদা করে রেখেছে।
প্রণালির মাঝখানে আছে দুটি দ্বীপপুঞ্জ, যার একটি রুশ মালিকানাধীন ও অন্যটি অ্যামেরিকার। দুই পাশে রাশিয়া ও অ্যামেরিকার দূরত্ব মাত্র ২ দশমিক ৪ মাইল।
বেরিং প্রণালির মাধ্যমে রাশিয়া ও অ্যামেরিকার সংযোগ স্থাপনের স্বপ্ন প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো।
এ প্রসঙ্গে দিমিত্রিয়েভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক বার্তায় বলেন, ‘বেরিং প্রণালির মাধ্যমে অ্যামেরিকা-রাশিয়াকে যুক্ত করার চিন্তা ১৯০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সাইবেরিয়া-আলাস্কা রেলপথ নির্মাণ পরিকল্পনারই প্রতিফলন। আরডিআইএফ অ্যামেরিকা-কানাডা-রাশিয়া-চীন রেলপথ নির্মাণ প্রস্তাবসহ এখন পর্যন্ত পরিকল্পিত সব প্রস্তাবই যাচাই করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত প্রস্তাবেই আমরা সায় দেব।’
এরই মধ্যে দিমিত্রিয়েভের এ ইচ্ছার কথা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কানে পৌঁছেছে।
ওয়াশিংটনে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকরা তাকে রুশ কূটনীতিকের এ প্রস্তাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
ট্রাম্প প্রস্তাবটিকে আকর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে শিগগিরই তিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। এ ঘোষণার পরপরই সমুদ্র পথে রাশিয়া-অ্যামেরিকা রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব দেন দিমিত্রিয়েভ।