
অ্যাকটিভিস্ট ও অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর কাছে এ বিক্ষোভের অর্থ ট্রাম্প ও তার প্রশাসন কর্তৃক অভিবাসীদের ওপর চড়াও হওয়া, অ্যামেরিকার বিভিন্ন শহরে সেনা পাঠানোর মতো ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ প্রতিবাদ।
কারও হাতে অ্যামেরিকার পতাকা। কেউ কেউ বাজাচ্ছেন বাদ্যযন্ত্র। কেউ আবার বহন করছেন প্ল্যাকার্ড।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার তাদের সবাই হাঁটছেন নিউ ইয়র্ক সিটির সড়ক ধরে। সমবেত সবার অভিন্ন লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে বার্তা দেওয়া, যার নাম ‘নো কিংস’।
অ্যাকটিভিস্ট ও অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর কাছে এ বিক্ষোভের অর্থ ট্রাম্প ও তার প্রশাসন কর্তৃক অভিবাসীদের ওপর চড়াও হওয়া, অ্যামেরিকার বিভিন্ন শহরে সেনা পাঠানোর মতো ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ প্রতিবাদ।
সড়কে নামা লোকজন নানা স্লোগান দেন, যার একটি ছিল, ‘আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করি’।
বিক্ষোভে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলো। এগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের নানা তৎপরতার বিরুদ্ধে অবস্থান জানান অংশগ্রহণকারীরা।
এর একটিতে অভিবাসী ধরপাকড়ে সামনের সারিতে থাকা সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়।
এক বিক্ষোভকারীর হাতে ‘আইস’ লেখার ওপর লাল কালি দেওয়া একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এর নিচের অংশে লেখা ছিল, ‘শেইম’ তথা লজ্জা।
জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে মিল রেখে সামরিক পোশাক পরা ও গোফওয়ালা ট্রাম্পের একটি ছবি তুলে ধরেন এক বিক্ষোভকারী। ছবির নিচে লেখা ছিল, ‘এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে ব্যাঙ্গ করা পুতুলও বহন করেন কেউ কেউ।
বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে লাল, হলুদ ও আকাশি রঙের বড় একটি ব্যানার ধরে থাকতে দেখা যায়। এতে ‘অত্যাচার নয় মুক্তি’ এবং ‘রাজা নয়’ লেখা ছিল।
নিউ ইয়র্ক সিটির প্রাণকেন্দ্রে এ বিক্ষোভে আসা এক নারী বলেন, অ্যামেরিকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, সরকার অল্প কিছু মানুষের পরিবর্তে সবাইকে প্রতিনিধিত্ব করবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
‘ফ্যাসিস্ট ট্রাম্প সরকারকে এখনই বিদায় নিতে হবে’ লেখা ব্যানার হাতে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা আক্ষরিক অর্থে লোকজনকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া দেখছি। আমরা দেখছি মুখোশ পরা ব্যক্তিরা লোকজনকে অপহরণ করছেন। রাজনৈতিক মতামতের কারণে লোকজন নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন।’