
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন অগ্নিকাণ্ড দেশের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বারবার আগুন লাগার ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি, বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুধুমাত্র দুর্ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে যথাযথ অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব, কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা এবং অনেক ক্ষেত্রে নাশকতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের অন্যান্য স্থানে ঘটে যাওয়া সকল অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে অবিলম্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন : অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের দ্রুত ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ : দেশের সব সরকারি, বেসরকারি ও স্পর্শকাতর স্থাপনা বিশেষ করে বিমানবন্দর, হাসপাতাল, শপিং মল এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-কারখানায় আন্তর্জাতিক মানের অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত ও নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের জানমালের সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং এই ধরনের বিপর্যয় এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল গ্রহণ করবে।’