October 20, 2025
Bangladesh bank-1-768x402

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘জনগণের কাছে যদি অধিকতর লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তখন স্বাভাবিকভাবে এখান থেকে সুইচ করে ওখানে যাবে। সরকার নিজেও চাচ্ছে যে জনগণের মনোযোগ সঞ্চয়ের পাশাপাশি ট্রেজারি বিলেও শিফট করুক।’

তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই নীতির ফলে অর্থনীতি পড়তে পারে লিকুইডিটি ট্রাপে। অর্থাৎ, মানুষ টাকা হাতে রাখছে, কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছে।

গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সুদের হার আবার কমিয়ে দেয়া হয়েছে। মানুষের সমস্ত কিছুর দাম বেশি। ১৫ শতাংশ যদি আমাকে ব্যাংকেরই সুদ দিতে হয় তাহলে ব্যবসা করে টিকে থাকা কঠিন। যার জন্য এটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বড় ব্যবসায়ীরা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।’

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ায় সরকারের বিকল্প অর্থায়ন এখন নির্ভর করছে ব্যাংকের ঋণের ওপর। ফলে বাণিজ্য ব্যাংক খাতেও তৈরি হয়েছে চাপ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারী ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকায়, তবে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ বেড়ে গেছে এক লাখ ৩৬ হাজার কোটির বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারী ব্যাংক খাত থেকে ঋণ ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকায়, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ- ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটির বেশি।

আইএমএফ-এর শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুদ হার কমানো, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা পড়েছেন বিপাকে। কারণ সংসারের বড় অংশের ব্যয় তারা চালাতেন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দিয়ে। এখন সেটিও কমে গেলে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।

একসময় বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের বড় ভরসা। এখন সেই নির্ভরতা দ্রুত কমছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যখন মানুষ সঞ্চয়পত্র থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে,তখন অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও ভরসা ফিরবে কীভাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *