
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বিরল খনিজ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চীন যখন এই খনিজ বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ এনেছে, তখন দুই মিত্র দেশ বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে প্রথম দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে বসেন ট্রাম্প ও আলবানিজ। ট্রাম্প জানান, এই চুক্তির জন্য গত চার থেকে পাঁচ মাস ধরে আলোচনা চলছিল। আলবানিজ বলেন, ‘এটি একটি ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প, যা আমরা এখনই বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা চুক্তির অনুলিপি অনুযায়ী, দুই দেশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রত্যেকে ১ বিলিয়ন ডলার করে খনিজ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য একটি ন্যূনতম মূল্যমান নির্ধারণেও সম্মত হয়েছে তারা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রায় এক বছরের মধ্যেই আমাদের কাছে এত বেশি বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ থাকবে যে, আমরা জানব না এগুলো দিয়ে কী করব!’
চুক্তির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ খনন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রমে অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে দ্রুত বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজের উৎপাদন বাড়ানো যায়।
চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ভূতাত্ত্বিক সম্পদের মানচিত্র তৈরি, খনিজ পুনর্ব্যবহার এবং জাতীয় নিরাপত্তার কারণে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের বিক্রি বন্ধে যৌথভাবে কাজ করবে।
রয়টার্সের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া তাদের পরিকল্পিত কৌশলগত খনিজ মজুদের কিছু অংশ মিত্র দেশগুলোর (যেমন যুক্তরাজ্য) কাছে বিক্রির বিষয়ে উন্মুক্ত। পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমানে চীননির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের খনিজ সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করছে।