
গত ১২ বছরের মধ্যে সোনার দামে সর্বোচ্চ দরপতন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে একদিনের লেনদেনে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে বলে বুধবার (২২) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
চলতি বছর সোনার দাম ৫৫ থেকে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। সোনার পাশাপাশি রুপার দামও কমেছে।
প্রযুক্তিগত সংশোধনের পর সোনার দরপতন হয়েছে বলে জানিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ডলার শক্তিশালী হওয়া, ভূরাজনীতি উত্তেজনা হ্রাস এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক আলোচনার সম্ভাবনার কারণে সোনার দামে পতন হয়েছে।
ডিসেম্বরের ডেলিভারির গোল্ড ফিউচারের দাম ২৯ দশমিক ৯০ ডলার বা ০ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে। এছাড়া স্পট সোনার দামও কমেছে।
চলতি বছর থেকেই সোনার দাম শুধু বাড়তে থাকে। যা বাড়তে বাড়তে ৫৫ শতাংশ বেশি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা সোনার দরপতনে ভূমিকা রেখেছে।
সাধারণত বাণিজ্যিক বাধার শঙ্কা, যুদ্ধ বিগ্রহ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহারের ওপর সোনার বাজার নির্ভর করে। যখন বাণিজ্যিক শঙ্কা দেখা দেয় তখন বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকেন। যেটি সোনালী এ ধাতুর দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।