বৃষ্টি, ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়ম আর রানবন্যা—সব মিলে নাভি মুম্বাইয়ের ড. ডি.ওয়াই. পাতিল স্পোর্টস একাডেমিতে এক রোমাঞ্চকর দিনে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ভারত নারী দল। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার প্রতিকা রাওয়াল ও স্মৃতি মান্ধানার শতকে ভর করে তারা ৫৩ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ভারতও।
বৃষ্টির কারণে ৪৯ ওভারে নামানো ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারত তোলে ৩৪০ রান ৩ উইকেটে। ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন দুই ওপেনার মান্ধানা ও রাওয়াল। প্রথম উইকেটে তারা যোগ করেন ২১২ রান মাত্র ৩৩.২ ওভারে।
আক্রমণাত্মক মান্ধানা ৯৫ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ১০৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। ইনিংসের পর তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও ধরেন—যার জন্যই পান ম্যাচসেরা পুরস্কার। অন্য প্রান্তে স্থির ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন রাওয়াল। তিনি ১৩৪ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১২২ রান।
শেষ দিকে জেমিমা রদ্রিগেজ ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে—৫৫ বলে ১১ চারে করেন অপরাজিত ৭৬ রান, যা ভারতের স্কোরকে আরও অপ্রতিরোধ্য করে তোলে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন অ্যামেলিয়া কার, সুজি বেটস ও রোজমেরি মায়ার।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ ওভারে ৩২৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় ডাকওয়ার্থ–লুইস–স্টার্ন (ডিএলএস) নিয়মে। কিন্তু হোয়াইট ফার্নসদের ব্যাটাররা কখনওই ছন্দ খুঁজে পাননি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৭১ রানে থামে তাদের ইনিংস, আর তাতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তারা।
ব্রুক হলিডে ৮৪ বলে ৮১ রান করে লড়াইয়ের আভাস দেন, সঙ্গে ইসাবেলা গেজের ৫১ বলে অপরাজিত ৬৫ রান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, কিন্তু দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
ভারতের হয়ে রেনুকা সিং ও ক্রান্তি গৌড় নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন শ্রী চরানি, স্নেহ রাণা, দীপ্তি শর্মা ও ওপেনার রাওয়াল।
ভারতীয় নারীদের জন্য এ ছিল এক নিখুঁত দলীয় জয়ের প্রতিচ্ছবি—যেখানে ব্যাটিংয়ের দৃঢ়তা, ফিল্ডিংয়ের তৎপরতা ও বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ মিলেই তৈরি করেছে সেমিফাইনালের পথ।
