এসব বিজ্ঞাপনে দেয়া অফারে বলা হচ্ছে, যারা স্বেচ্ছায় অ্যামেরিকা ছাড়বেন, তারা পাবেন ১,০০০ ডলার ও একটি বিমানের টিকিট।
অ্যামেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা ১৬ লাখ মানুষ স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন বলেন জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট (ডিএইচএস)। জোরপূর্বক নির্বাসিত করা হয়েছে আরও ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে।
এবিসি নিউজ জানায়, ডিএইচএস, অভিবাসীদের নিজে থেকে দেশ ছাড়তে উৎসাহ দিচ্ছে। এ জন্য তারা লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপনে দেয়া অফারে বলা হচ্ছে, যারা স্বেচ্ছায় অ্যামেরিকা ছাড়বেন, তারা পাবেন ১,০০০ ডলার ও একটি বিমানের টিকিট। তবে এখনো ঠিক কত টাকা এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ডিএইচএসের জনসংযোগ বিষয়ক সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করছে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, গত চার বছর ধরে সংস্থাটি তার কাজ করতে বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সেক্রেটারি নোয়েম সংস্থাটিকে আবার সক্রিয় করে তুলেছেন।
ম্যাকলাফলিন বলেন, বিচারকদের পক্ষ থেকে রেকর্ডসংখ্যক নিষেধাজ্ঞা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নানা হুমকি সত্ত্বেও, ডিএইচএস, আইস, ও সিবিপি শুধু সীমান্ত বন্ধ করেনি, বরং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়ন বাস্তবায়নে ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, অবৈধ অভিবাসীরা এখন আমাদের বার্তা বুঝতে পারছে। ‘এখনই দেশ ছেড়ে যাও, নয়তো পরিণতি ভোগ করো। অনেকেই এখন সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই ফিরে যাচ্ছে। পানামার দারিয়েন গ্যাপ দিয়ে অভিবাসন এখন ৯৯.৯৯ শতাংশ কমে গেছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তবে অভিবাসন অধিকারকর্মীরা দাবি করছেন, বর্তমান অভিবাসন আইন প্রয়োগের পদক্ষেপগুলো অতিরিক্ত কঠোর হয়ে গেছে।
