ভ্যান্স বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রক দল হামাসের ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের’ প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বদলা নেবে বলে প্রত্যাশা করছে অ্যামেরিকা। যদিও চুক্তির সার্বিক কাঠামো একই জায়গায় রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেই মঙ্গলবার গাজায় নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল, তবে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দাবি করেছেন, চুক্তি এখনও বহাল।
ভ্যান্স বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রক দল হামাসের ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের’ প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল বদলা নেবে বলে প্রত্যাশা করছে অ্যামেরিকা। যদিও চুক্তির সার্বিক কাঠামো একই জায়গায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি বহাল। এর অর্থ এই নয় যে, বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো সংঘর্ষ হচ্ছে না।
‘আমার জানি যে, গাজার অভ্যন্তরে হামাস অথবা অন্য কেউ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর) এক সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি ইসরায়েলিরা জবাব দিতে যাচ্ছে, তবে আমি মনে করি, তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের শান্তি বহাল থাকতে যাচ্ছে।’
হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাতে আল জাজিরা জানায়, উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় গাজা সিটি এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান থেকে ছোড়া বোমা ও কামানের গোলায় কমপক্ষে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৫ জন আহত হন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পরও ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা নিয়ে সামান্য সমালোচনা করেছেন অ্যামেরিকার কর্মকর্তারা। এসব হামলায় প্রায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
হামলার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশেও বাধা দিয়েছে ইসরায়েল।
গাজায় সেনার ওপর বন্দুক হামলার যে কারণটি দেখিয়ে ইসরায়েল উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে, তার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে হামাস।
এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গাজা উপত্যকায় ‘শক্তিশালী হামলা’ চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার পর গাজা উপত্যকায় শক্তিশালী হামলা চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
