জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতের নেতৃত্বে থাকা আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো। জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলো আজ নির্বাচন কমিশনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করবে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া এবং ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে রিপোর্টটা দিয়েছে, ওখানে তারা কংক্রিট কোনো কথা বলেনি। বলেছে যে, জাতীয় নির্বাচনের দিনে অথবা আগে যে কোনো সময় (গণভোট হতে পারে)। অর্থাৎ তারা ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা বলায় ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বল চলে গেছে সরকারের কোর্টে। এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আন্দোলনরত দলগুলোর পক্ষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, আমাদের সব দলের পরিষ্কার বক্তব্য, ঐকমত্য কমিশন যদি সুনির্দিষ্ট করে জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোটের তারিখটা বলে দিত, তাহলে কিন্তু আর ঝামেলা পাকাত না। এখন দুই-একটা দল যারা একই দিনে গণভোট আর জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছে, এই কথায় তারাও কথা বলার সুযোগ পেল। আর আমরা যারা আগে থেকেই চাচ্ছি, তাদেরও কথা বলার সুযোগ থেকে গেল। মাঝখান দিয়ে ঐকমত্য কমিশন বেঁচে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা আজ এই আটটি দল পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সরকারের এখন দায়িত্ব পড়ে গেছে খুব দ্রুত গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা। গণভোটের তারিখ যদি আগে ঘোষণা করা না হয়, আগে বলতে জাতীয় নির্বাচনের আগে, যত দেরি করা হবে, ততই কিন্তু মূল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে নতুন সংকট দেখা দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ। তিনি সমমনা দলগুলোর পক্ষে বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া এবং ৩ নভেম্বর বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান।
