আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে এই নির্বাচন বাঞ্চাল করতে দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা অপশক্তি সক্রিয় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) যমুনায় অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে প্রথম সমন্বয় সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সভায় বলেছেন, “নির্বাচন বাঞ্চালের জন্য দেশের ভেতর থেকে এবং বাইর থেকেও অনেক অপশক্তি কাজ করবে। বড় শক্তি নিয়ে তারা নির্বাচনে হামলা বা নাশকতা চালাতে পারে। এই নির্বাচন হবে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যত ঝড়-ঝাপটা আসুক, আমাদের তা মোকাবিলা করতে হবে।”
প্রেস সচিব জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এ লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনকালীন কর্মকর্তাদের পদায়ন শুরু হবে, যেখানে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য ৬৪ জেলার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
তবে পদায়নে স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কোনো কর্মকর্তাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি বা আত্মীয়স্বজনের এলাকায় পদায়ন করা হবে না। এছাড়া, গত তিনটি নির্বাচনে যারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের এবার নির্বাচনে রাখা হবে না।
সভায় আরও জানানো হয়, নির্বাচন ঘিরে দেশে ও বিদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য (misinformation) ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য (disinformation) ঠেকাতে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও পিআর পদ্ধতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত সব দলই নির্বাচনে অংশ নেবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
