October 30, 2025
tbn24-20251028200905-242-Bd and US passoirt

‘যদি আপনি দুইটি নাগরিকত্ব রাখেন তাহলে যে জিনিসটা আপনার ফ্যাসিলিটিজের মধ্যে থাকবে, আমাদের সবারই দেশে কিছু না কিছু প্রপার্টি কিছু না কিছু থাকে, সেই ক্ষেত্রে। ইভেন কেউ তো ইলেকশনও করতে চায়।’

একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে বংলাদেশ ও অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব পেতে চাইলে তার করণীয় কী এবং তাকে কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন সার্টিফায়েড প্যারালিগ্যাল বেলায়েত হোসেন বেলালকে করেছেন টিবিএন ভিউজের সঞ্চালক রানা আহমেদ। আইন ও নয়া বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: তো দর্শক চলুন এখন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় ফিরে যাই। প্রথমে আলোচনা করতে চাই, একজন বাংলাদেশি অ্যামেরিকান হিসেবে আপনি কীভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব বা ডুয়েল সিটিজেনশিপ পাবেন।

তো আমরা আজকে মূলত বাংলাদেশে অ্যামেরিকান হিসেবে কীভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, সেটি নিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই যে, প্রথমেই জানতে চাই যে, দ্বৈত নাগরিক বলতে আসলে কী বোঝায় এবং আমেরিকা ও বাংলাদেশের আইনে এটি কীভাবে সংজ্ঞায়িত?

বেলায়েত: ধন্যবাদ, রানা ভাই আপনাকে। দ্বৈত নাগরিক আমরা সবাই জানি। সেটা হচ্ছে দুই দেশের নাগরিক অথবা দুইটাই নাগরিক আপনি থাকবেন। সেটা ইউএসের সাথে বাংলাদেশ অথবা যদি আপনার আরও কোনো কান্ট্রিতে জন্ম হয়ে থাকে, যদি নন বাঙালি হয়, যদি কেউ ইন্ডিয়ান হয়, তখন ইন্ডিয়ার সাথে ইউএস। যদি কেউ পাকিস্তানি হয়, পাকিস্তানের জন্ম বাই বার্থ, ন্যাচারালাইজেশন ইউএসএ, তখন হচ্ছে ইউএসএর সাথে পাকিস্তান।

হোক ইউএসএর সাথে ইন্ডিয়া, হোক ইউএসএর সাথে বাংলাদেশ, আমরা যেহেতু কথা বলছি আমাদের কমিউনিটি নিয়ে, তখন আমরা মনে করি সেটা বাংলাদেশ নিয়ে আমরা এখন প্রেজেন্টেশন চলছে আমাদের। ওকে?

সো বাই বর্ন আমাদের যারা বাংলাদেশ, আমাদের একটা ছিল কী? ন্যাশনালিটি বাংলাদেশ। যখন আমরা ইউএসএর সিটিজেন হয়ে গেলাম অটোমেটিক্যালি আমার বাংলাদেশে কিন্তু চলে গেল যতক্ষণ আমি নিজে অ্যাড না করি। আমি ইউএস সিটিজেন হয়ে গেলাম বাই ল।

আপনি উইদাউট ডিক্লারেশন একটা নাগরিক হইতে পারেন, দুইটা না, বাট আমাদের কিন্তু ছিল বাংলাদেশের। ইয়েস। সেটাকে যদি আমরা কন্টিনিউ করতে চাই, তখন আমরা দুইটা নাগরিক। আমাদের পাসপোর্ট আমরা দুইটাই করতে পারি।

একটা হচ্ছে ডুয়াল সিটিজেন হিসেবে, আমরা যাকে বলি দ্বৈত নাগরিক। আপনি বাংলাদেশের নাগরিক প্লাস আপনি ইউএসএর নাগরিক। সেটাও আপনি করতে পারেন।

যদি আপনি দুইটি নাগরিকত্ব রাখেন তাহলে যে জিনিসটা আপনার ফ্যাসিলিটিজের মধ্যে থাকবে, আমাদের সবারই দেশে কিছু না কিছু প্রপার্টি কিছু না কিছু থাকে, সেই ক্ষেত্রে। ইভেন কেউ তো ইলেকশনও করতে চায়।

টিবিএন: ইলেকশন করার ক্ষেত্রে কি দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে করা যায়?

বেলায়েত: দুইটা জিনিস থাকবে। যদি আপনি সেটা মেম্বার পার্লামেন্ট মেম্বার হতে চান, তখন না। আর লোকাল কাউন্সিল, স্থানীয় ক্ষেত্রে, তখন কিন্তু… এবং আমরা সেটা জানি, এ দেশে অনেকেই আমাদের যাদের সিটিজেনশিপ ছিল বিভিন্ন সময়, দেশে ইলেকশন করার কারণে ওরা কিন্তু ইউএস সিটিজেনশিপ ড্রপ করতে হইছে।

টিবিএন: তাহলে এখন একজন বাংলাদেশি নাগরিক যদি আমরা বাংলাদেশি অ্যামেরিকান কীভাবে বাংলাদেশের এই দ্বৈত নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট বা ডুয়েল ন্যাশনালিটি সার্টিফিকেট পেতে পারেন, এই ধাপগুলো যদি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন। কী, কী কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়? কোথায় আবেদন করতে হয়? কীভাবে করতে হয়? কতদিন সময় লাগে?

ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়গুলো যদি আপনি বিস্তারিত আলোচনা করেন, তাহলে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বা এই গতকাল বা তারা কিছুদিন আগে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন, চিন্তায় আছেন কী করব, কী না করব, যদি ওইটা করি, বাংলাদেশেরটা, অ্যামেরিকারটা আবার নষ্ট হয়ে যাবে কি না বা এখানে কোনো সমস্যা হবে কি না, এই বিস্তারিত বিষয়গুলো আপনি একটু তুলে ধরুন।

বেলায়েত: ধন্যবাদ আবার। ডুয়েল সিটিজেন আপনি হচ্ছেন। নষ্ট হচ্ছে না। আপনি অ্যাড করবেন শুধু। আপনি ইউএস সিটিজেন। জাস্ট আপনি আরও একটা। বাংলাদেশের নাগরিক আপনি ছিলেন বাই বর্ন। ওকে? আপনি যেটা বাই বর্ন ছিলেন, ওই কাগজপত্রগুলি আপনার শুধু দরকার যখন আপনি ডুয়াল সিটিজেনশিপের জন্য অ্যাপ্লাই করবেন।

আগে যদি বলি এখন থেকে সিক্স মান্থ আগে অর (অথবা) এক বছর আগে অর দুই বছর আগে অথবা তিন বছর আগে আমরা জানি, যারা ডুয়াল সিটিজেনশিপের সময় অ্যাপ্লাই করা ছিল কত লম্বা সময়ের কাজ। কতদিন পরে সেটা হইত। এখন ও রকম লাগে না।

এখন আমাদের দেশের সফটওয়্যার বলেন, ওদের সহযোগিতার কারণে বলেন, এনিওয়ে নাউ থার্টি টু ফোর্টি ফাইভ ডেজের মধ্যে ডুয়েল সিটিজেনশিপ হচ্ছে লোকজন যদি প্রপারলি করতে পারেন।

কেউ যদি নিজে করতে পারেন, ইট’স ফাইন। আর যদি নিজে না জানেন, আপনি কনস্যুলেটের থ্রোতে, কনস্যুলেটে করবেন না। সেটা আপনাকে করতে হবে আপনি যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান, যারা ভালো কাজ করে বা জানে, আপনি ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আপনি করতে পারেন।

সো ওই জিনিসটা এখন অনেকটাই ইজি।

আপনার সেকেন্ড কোশ্চেন ছিল রিকোয়ারমেন্ট। বাংলাদেশের পাসপোর্টের পেজ এক থেকে সাত পর্যন্ত, যেটা আপনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট আছে, ওই এক থেকে সাতের পাতা পর্যন্ত, আপনার প্রত্যেকটা পাতা লাগবে। ওই যে স্ক্যান করা পেজগুলি অ্যাড করতে হবে।

এবার হচ্ছে বাংলাদেশের আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি। ভোটার আইডি বলেন, ন্যাশনাল আইডি যেটা আমরা বলি, সেম থিং। দুনোটাই বার্থ সার্টিফিকেট।

বাংলাদেশের বার্থ সার্টিফিকেট ১৭ ডিজিটের যেটা আপনার আধুনিক। অর সব জায়গায় এখন যেটা আপনার ১৭ ডিজিটগুলি কম্পিউটারে এক্সেস করা যায়। বাংলাদেশ কনস্যুলেট এক্সেস করতে পারেন। আমি আপনি যদি আমরা অনলাইনে যাই, আমরা কিন্তু এক্সেস করতে পারব।

আপনার সার্টিফিকেট সে জন্য গভর্নমেন্ট চাচ্ছে। ১৭ ডিজিট সব জায়গায়। নাউ অ্যাডস টু ভেরিফাই। ইয়েস।

…আপনি নাম্বার দিবেন। অনলাইনে ওরা দেখে নিবে; চেক করবে। সে জন্য কিন্তু দ্রুত কাজগুলি হচ্ছে।

আগে আমাদের মাথায় ছিল না ৪৫ ডেজের মধ্যে ডুয়াল সিটিজেন…আপনাদের খুবই ক্লোজ, পরিচিত একজন আমাদের বাংলাদেশের একসময়কার অ্যাক্টর, উনার এবং উনার ফ্যামিরির আমি করে দিলাম। উনার থার্টিটু ডেজের মধ্যে পাইছে। নট দেড় মাস। উনি পাইছে থার্টিটু ডেজের মধ্যে।

মানে এক মাসের মধ্যেএবং যদি আমরা সাপ্তাহিক ছুটিগুলো বাদ দিই তাহলে, হ্যাঁ সেক্ষেত্রে ২২ দিনের মধ্যে। ডিপেন্ড যদি সবার কাগজগুলি সব আপডেট থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *