যুক্তরাষ্ট্রে কেউ যদি ইউএসসিআইএসের কাছে ইবি-৫ আবেদন করেন, তাহলে তাকে এ দেশের যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগও হতে হবে যথাযথ নিয়মে। কারণ তিনি এ দেশে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছেন বা করবেন, তা তাকে বৈধভাবে আনতে হবে। কেউ বিদেশ থেকে পাচার করে আনা অর্থ এ দেশে ইবি-৫ ভিসার জন্য বিনিয়োগ করে ধরা পড়লে তিনি কঠিন সমস্যায় পড়বেন। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার করেছেন বলে বাংলাদেশ সরকার অভিযোগ করেছে। এ দেশে সম্পদ করেছেন এমন ব্যক্তিদেরকে সরকার চিহ্নিত করছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন।
ইউএসসিআইএস বলছে, ইবি-৫ জালিয়াতির প্রতিবেদন কারও জানা থাকলে তাদেরকে জানানোর জন্য। এ ছাড়া এইচ-১বিসহ কয়েকটি ক্যাটাগরির বিষয়ে তারা তাদেরকে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করেছে। ইবি-৫-এর ব্যাপারে বলছে, সাধারণ ইবি-৫ জালিয়াতি প্রকল্পে যে কেউ জড়িত থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছেন আবেদনকারী (অভিবাসী বিনিয়োগকারী), আবেদনকারীর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তি, কোম্পানি ও স্থান (উদাহরণস্বরূপ আঞ্চলিক কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, স্পনসর, নতুন বাণিজ্যিক উদ্যোগের বিকাশকারী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী সত্তার সভাপতি, মালিক বা ব্যবস্থাপক)। আবেদনকারী বা আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বা আইন সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র বা বিদেশে একজন মাইগ্রেশন এজেন্ট, প্রোমোটার বা সংস্থা।
সাধারণ অভিবাসন-সুবিধা জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের প্রতিবেদন করতে ইউএসসিআইএসের নতুন অনলাইন টিপ ফর্মটি ব্যবহার করতে হবে। অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে সন্দেহভাজন ইবি-৫ জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের প্রতিবেদন করার জন্য একটি যৌথ মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং ইউএসসিআইএস বিনিয়োগকারী সতর্কতা অভিবাসী বিনিয়োগকারী প্রোগ্রামকে কাজে লাগাতে পারে এমন প্রতারণামূলক বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। ইবি-৫ প্রোগ্রামে সিকিউরিটিজ জালিয়াতির প্রতিবেদন করতে হবে এসইসিকে।
