October 30, 2025
image_236459_1761846886

নতুন কিংবা পুরোনো, বাজার ছেয়ে গেছে চোরাই পথে আসা কিংবা নকল আইএমইআই যুক্ত মোবাইল ফোনে। হাতবদল হওয়া একটি স্মার্টফোন কেনার আগে কি মনে প্রশ্ন জাগে ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ?

তবে এসব ফোন যেমন নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করে, তেমনি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। আগে সমস্যা না হলেও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নেওয়া পদক্ষেপে বিপদ হতে পারে আপনারও।

বিটিআরসি এখন সহজেই ব্যবহৃত বা নতুন কেনা ফোনের বৈধতা যাচাই করার সুযোগ এনেছে। শুধু একটি এসএমএস বা অনলাইন চেক করে নিশ্চিত হওয়া যাবে কেনা ফোনটি অফিশিয়াল ডেটাবেজে নিবন্ধিত আছে কি না।

এসএমএসের মাধ্যমে যাচাইপদ্ধতি

ধাপ-১: প্রথমে মোবাইলের কিপ্যাডে *#06# ডায়াল করুন। স্ক্রিনে দেখা যাবে ফোনের আইএমইআই নম্বর।

ধাপ-২: মোবাইল ফোন থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।

ধাপ-৩: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেট-এর ১৫ ডিজিটের আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি লিখে প্রেরণ করুন।

ধাপ-৪: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।

অনলাইনে যাচাইপদ্ধতি

বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ‘Verify IMEI’ অপশনে গিয়ে আইএমইআই (IMEI) নম্বরটি লিখুন। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেখা যাবে–আপনার ফোনটি ‘Valid’, ‘Invalid’ নাকি ‘Clone’।

অবৈধ ফোন ব্যবহারে যা ঘটতে পারে

বিটিআরসি জানিয়েছে, অনুমোদিত নয় এমন ফোনে মোবাইল সিম কাজ করবে না। ফলে কল, এসএমএস বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি এসব ডিভাইস নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।

গ্রাহকদের জন্য পরামর্শ

বিটিআরসি পরামর্শ দিয়েছে, নতুন বা পুরোনো ফোন কেনার আগে অবশ্যই আইএমইআই যাচাই করে নিতে। বিশেষ করে অনলাইন বা বিদেশ থেকে আনা ফোন কেনার সময় ফোনের বাক্স ও ডিভাইসের আইএমইআই মিলিয়ে দেখা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *