 
                এ চেষ্টার অংশ হিসেবে ক্রয় সহজ করার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও আসন্ন মাসগুলোতে স্বল্প মূল্যে হাজার হাজার ড্রোন সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে বলে রয়টার্সকে জানান পেন্টাগনের একাধিক কর্মকর্তা ও বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল লোকজন।
অ্যামেরিকার সামরিক ড্রোন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর চেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে পেন্টাগনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি-ডজ ইউনিট।
এ চেষ্টার অংশ হিসেবে ক্রয় সহজ করার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও আসন্ন মাসগুলোতে স্বল্প মূল্যে হাজার হাজার ড্রোন সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে বলে রয়টার্সকে জানান পেন্টাগনের একাধিক কর্মকর্তা ও বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল লোকজন।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, সেক্রেটারি অব ডিফেন্স পিট হেগসেথ চলতি বছরের জুলাইয়ে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমানোর অঙ্গীকারের পাশাপাশি অ্যামেরিকায় তৈরি হাজারো ড্রোন মডেলের নকশা অনুমোদন করে এ খাতে দেশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিটকে ‘ড্রোন যুদ্ধে’ প্রস্তুত করার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরুর অনুমোদনও দেন তিনি।
ইউক্রেনের রণাঙ্গনে ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এ প্রযুক্তিতে অ্যামেরিকার সীমাবদ্ধতা উঠে আসার প্রতিক্রিয়ায় হেগসেথ এসব ব্যবস্থা নেন।
বিষয়টি সম্বন্ধে জ্ঞাত পাঁচ ব্যক্তি রয়টার্সকে জানান, ডজের সম্পৃক্ততা—যা নিয়ে আগে খবর প্রকাশ হয়নি—ইউনিটটিকে অ্যামেরিকার সামরিক ড্রোন কর্মসূচির ওপর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। জুনে এক নির্বাহী আদেশে কর্মসূচিটিকে প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকার হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের জিজ্ঞাসার জবাব দেয়নি পেন্টাগন।
ড্রোন যুক্ত করার ক্ষেত্রে মিশ্র ট্র্যাক রেকর্ড উতরাতে চাইছে পেন্টাগন। ২০০৩ সালে পেন্টাগনের নেতারা ‘রেপ্লিকেটর ইনিশিয়েটিভ’ নামের একটি উদ্যোগের ঘোষণা দেন, যার লক্ষ্য ছিল ২০২৫ সালের আগস্টের মধ্যে হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ক্রয় ও মোতায়েন। যদিও এ উদ্যোগের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কোনো আপডেট দেয়নি ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স।
ডজের চেষ্টা কীভাবে রেপ্লিকেটর ইনিশিয়েটিভে প্রভাব রাখবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি রয়টার্স।

 
                             
                             
                       
                       
                            