 
                হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নথি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সীমার পরিধি কমিয়ে আনাটা অ্যামেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে শরণার্থী নীতি নতুন করে সাজাতে বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
অ্যামেরিকায় ২০২৬ অর্থবছরে শরণার্থী প্রবেশাধিকারের সর্বোচ্চ সীমা সাত হাজার ৫০০ নির্ধারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
শরণার্থী গ্রহণের ওই সীমার পরিধি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নথি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সীমার পরিধি কমিয়ে আনাটা অ্যামেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে শরণার্থী নীতি নতুন করে গড়তে বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক শরণার্থী নিরূপণে ট্রাম্প জানান, প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে মোটা দাগে নজর দেওয়া হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জাতিগত সংখ্যালঘু আফ্রিকানারদের ওপর।
ট্রাম্পের দাবি, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণগত কারণে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন আফ্রিকানাররা। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর সব ধরনের শরণার্থীর প্রবেশাধিকার স্থগিত করেন ট্রাম্প। তার ভাষ্য, অ্যামেরিকার স্বার্থ সর্বোচ্চ সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষেই কেবল শরণার্থী ভর্তি পুনরায় চালু করা হবে।
ওই বক্তব্যের কয়েক সপ্তাহ পর আফ্রিকানারদের অ্যামেরিকায় আনার চেষ্টা শুরু করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এর সমালোচনা করেন শরণার্থী সমর্থকরা।
রয়টার্স সে সময় জানায়, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সাউথ আফ্রিকা থেকে কেবল ১৩৮ জন অ্যামেরিকায় প্রবেশ করে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিরূপণে ট্রাম্প জানান, ‘স্ব স্ব মাতৃভূমিতে অবৈধ বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার অন্য ভুক্তভোগীদের’ অ্যামেরিকায় আনার বিষয়টিও ভেবে দেখবে তার প্রশাসন।
অ্যামেরিকার সরকারি কর্মকর্তাদের খসড়াকৃত এপ্রিলের অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ইউরোপীয়দের শরণার্থী হিসেবে আনাকেও অগ্রাধিকার দিতে পারে প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিচারে গণঅভিবাসনের বিরোধিতা কিংবা জনতুষ্টবাদী রাজনীতির প্রতি সমর্থনের জন্য লক্ষ্যবস্তু হলে অ্যামেরিকায় শরণার্থী হিসেবে যোগ্য হতে পারেন ইউরোপীয়রা।
ট্রাম্পের প্রকাশ্য শরণার্থী পরিকল্পনায় অবশ্য ইউরোপীয় ও অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর নাম নেই।
অ্যামেরিকার আইন অনুযায়ী, শরণার্থীর সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় নির্বাহী শাখার, তবে ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা ৩০ সেপ্টেম্বর জানান, এ ধরনের কোনো বৈঠক তাদের সঙ্গে করেননি রিপাবলিকানরা।
রেপ্রেজেন্টেটিভ জেমি রাসকিন, সিনেটর ডিক ডারবিন ও অন্য কয়েকজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা বৃহস্পতিবার বিবৃতি দেন।
এতে তারা জানান, ট্রাম্প কর্তৃক শরণার্থী গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমার পরিধি কমানো বিপথে চালিত। এ কর্মকাণ্ডে আইনি সমর্থনেরও অভাব রয়েছে।

 
                             
                             
                       
                       
                            