বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, আলালের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিভাজনমূলক ও অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ‘একাত্তরের গণহত্যা, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের কারণে জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করতে হবে’—এমন মন্তব্য করেছেন। এই বক্তব্য জাতীয় ঐক্যবিনষ্টকারী এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী বলে দাবি করেন জামায়াত নেতা।
মাওলানা আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, আলালের বক্তব্যে বোঝা যায়, তিনি কাউকে খুশি করার উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন। তার বক্তব্যে কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, যার নীতি ও আদর্শ ইসলামী মূল্যবোধ, ন্যায়নীতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে জামায়াতকে টার্গেট করে নানা সময় মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। কিন্তু জাতি এখন এসব প্রপাগান্ডা সম্পর্কে সচেতন।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকালে জাতীয় ঐকমত্য ও পারস্পরিক সহনশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আলালের এমন মন্তব্য জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থি এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থি।
মাওলানা হালিম বলেন, জামায়াত সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে। তাই দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষপ্রসূত।
তিনি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
