রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবার তার অংশবিশেষ স্থায়ীভাবে আটকে দিয়েছেন তিনি।
ভোট প্রদানের আগে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ভোটারদের কাছে পাসপোর্ট বা সমজাতীয় নথিপত্র রাখার শর্ত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বেঁধে দিতে পারেন না বলে রায় দিয়েছেন ফেডারেল এক বিচারক।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন, শুক্রবার তার অংশবিশেষ স্থায়ীভাবে আটকে দিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট গত ২৫ মার্চ যে নির্বাহী আদেশ দেন, তাকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি মামলা করা হয়।
ফেডারেল নির্বাচনি প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্যে দেওয়া ওই রায় বাস্তবায়ন এরই মধ্যে আটকে দিয়েছেন বিভিন্ন বিচারক।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ কলিন কলার-কোটলিই প্রথম বিচারক, যিনি নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন।
ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আগে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব প্রমাণের বিধান সংবলিত নির্বাহী আদেশের অংশবিশেষ স্থায়ীভাবে আটকে দিয়েছেন তিনি।
এর আগে নির্বাহী আদেশের অংশবিশেষ—ভোটের দিনের পর স্টেইটগুলো ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট গণনা করতে পারবে না—আটকে দিতে অস্বীকৃতি জানান একই বিচারক।
সর্বশেষ আদেশটি এসেছে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি, লিগ অব ইউনাইটেড ল্যাটিন অ্যামেরিকান সিটিজেনস এবং লিগ অব ওম্যান ভোটারস এডুকেশন ফান্ডের মতো কয়েকটি পক্ষের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে।
নির্বাহী আদেশে নির্দলীয় ফেডারেল নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তারা যেন জাতীয় ভোটার নিবন্ধন ফরমে পরিবর্তন আনে।
ওই ফরমের একটি অংশে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্টের মতো নথি থাকার প্রয়োজন জুড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এতে সরকারি সহায়তা নেওয়া লোকজনকে ভোটার নিবন্ধন ফরম দেওয়ার আগে তাদের নাগরিকত্ব ‘যাচাই’ করতে পারবেন ফেডারেল কর্মকর্তারা।
