অনেকে দেশ-বিদেশে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, কিন্তু বাজেটের কারণে অনেক সময় সাহস হয়ে উঠে না। তবে কিছু দেশ আছে, যেখানে শুধু পর্যটক ভিসা এবং অন্যান্য খরচও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশ সহজ ভিসা প্রক্রিয়া এবং সাশ্রয়ী খরচের কারণে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের সঙ্গে পর্যটন ভিসার খরচ মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে । চলেন দেখে নেওয়া যাক-এমন কয়েকটি দেশের তালিকা।
নেপাল
নেপালের ভিসার খরচ খুবই কম। ১৫ দিনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৩৬০০ টাকা, ৩০ দিনে প্রায় ৬০০০ টাকা এবং ৯০ দিনে প্রায় ১৫,০০০ টাকা। এমন সাশ্রয়ী খরচ এবং সহজে ভিসা বাড়ানোর সুবিধার কারণে হিমালয়ের দিকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বাজেটবান্ধব দেশগুলোর মধ্যে একটি।
কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাশ্রয়ী ভিসা সুবিধাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৩০ দিনের পর্যটক ভিসার খরচ মাত্র প্রায় ৩৬০০ টাকা, আর সাধারণ ই-ভিসার খরচ প্রায় ৪২০০ টাকা। ২০২৫ সালে এই সাশ্রয়ী খরচ আরও বেশি পর্যটককে আর্কন ওয়াটের প্রাচীন মন্দির, ফ্রোমপেনহের ঐতিহাসিক স্থান এবং কামপট ও কেপের সমুদ্রসৈকত ঘুরতে আকৃষ্ট করছে।
জর্ডান
জর্ডানে ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার খরচ প্রায় ৪০ জর্ডানীয় দিনার, অর্থাৎ প্রায় ৭০০০ টাকা। ফ্রি না হলেও, এটি অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক কম। যারা পেত্রা, ডেড সি বা ওয়াদি রুম মরুভূমি দেখতে চান, তাদের জন্য এই খরচ যুক্তিসঙ্গত। জর্ডান পাস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার খরচও মওকুফ করা হয়।
তানজানিয়া
তানজানিয়ার পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬১০০ টাকা এবং সেখানে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। সেরেনগেটির সাফারি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জাঞ্জিবারের সৈকত ভ্রমণের জন্য এই খরচ অত্যন্ত কম মনে হয়।
উগান্ডা
উগান্ডার পর্যটক ভিসার খরচও প্রায় ৬১০০ টাকা এবং এটি ৯০ দিনের জন্য বৈধ। উগান্ডা তার পর্বতগোরিলা, জাতীয় উদ্যান এবং নীলনদের উৎস হিসেবে পরিচিত। পর্বতগোরিলা দেখতে গেলে জাতীয় উদ্যানগুলোতে ভ্রমণ করতে হয়, বিশেষ করে বুইন্দি ইমপেনেট্রেবল জাতীয় উদ্যান পর্বতগোরিলা দেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।
এই দেশগুলো বাজেট সচেতন পর্যটকদের জন্য সহজে ভ্রমণ এবং সাশ্রয়ী ভিসার সুবিধা দেয়। সময়-সুযোগ থাকলে পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন।
