November 3, 2025
ইমরান

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পাওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘোষিত কমিটিতে তার নাম থাকায় মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তার পদ পাওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

গত ৩১ অক্টোবর বিকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে এনসিপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ইমরান হোসেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে স্থান পান। তিনি কর্ণফুলী থানার জাফর হত্যা এবং একটি চেক প্রতারণার মামলায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে খুলশী থেকে গ্রেফতার হন। পরে জামিন পান।

নিহত জাফরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে জাফর আহমদকে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে জাফরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ইমরানসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ছয়-সাত জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ইমরান কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

নিহত জাফরের ছেলে মোহাম্মদ আবছার বলেন, ‘আমার বাবার হত্যার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছেন। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। এমনকি আমার বাবা হত্যার বিচার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’

এ বিষয়ে এনসিপি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাফর যখন খুন হয়েছিলেন তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাকে সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের কারণে আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়। আওয়ামী লীগের সময়ে দীর্ঘ ১২ বছর আমি বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। এখনও তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওই হত্যা মামলায় ২ নম্বর আসামি একজন বিএনপি নেতা, আমার মাকে ৩ নম্বর এবং আমার এক ভাইকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

এ ব্যাপারে এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী রিদুয়ান হৃদয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান কমিটিতে স্থান পাওয়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে কমিটি ঘোষণার আগে তাকে নিয়ে কোনও কথা আমরা শুনিনি। যে মামলাটি হয়েছে সেটি আওয়ামী লীগের সময়ে। তার বিষয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যালোচনা করেছি। মনে হচ্ছে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। জমি সংক্রান্ত বিষয় এখানে জড়িত। এরপরও এ বিষয়ে বাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *