November 4, 2025
image_237508_1762192615

বাতিল হওয়া ৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বিনা শর্তে বহালসহ ৮ দফা দাবি পূরণে আগামী রোববার (৯ নভেম্বর) পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রার) একাংশের নেতারা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিবি মিলনায়তনে এ ঘোষণা দেন ‘শ্রম বাজার আন্দোলনের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আতিক। দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) বিএমইটি ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত এক বছরে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইনে একাধিক ধারা ও বিধি পরিবর্তনের ফলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কার্যক্রমে নানা বিপত্তি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির সদস্যরা। কিছু অসাধু এনজিও ও প্রভাবশালী মহল খাতটিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় শ্রমবাজার রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, জনরপ্তানি খাত আজ মহাসংকটে। জটিলতা নিরসনে সব সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ না নিলে আগামী দিনে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ খাত অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

বক্তারা লাইসেন্স নবায়নে অযৌক্তিক শর্ত বাতিল, অভিযোগ বাণিজ্যের নামে হয়রানি বন্ধ, সৌদি আরবসহ বন্ধ শ্রমবাজারগুলো পুনরায় চালু এবং বৈধ অভিবাসনের প্রতিবন্ধকতা দূর করাসহ ৮ দফা দাবি পেশ করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব জটিলতা নিরসনে ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হলে আগামী সোমবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

৮ দফা দাবিগুলো হলো— রিক্রুটিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় অভিযোগ নিষ্পত্তি বা কর্মী প্রেরণের শর্ত বাতিল করতে হবে। বৈধ অভিবাসনের পথে যেসব অযৌক্তিক আইন ও বিধি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, সেগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বৈধ অভিবাসনে বাধা সৃষ্টি করায় অবৈধ অভিবাসনের প্রবণতা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা রাষ্ট্র ও সমাজ-উভয়ের জন্যই গভীর উদ্বেগের বিষয়। সৌদি আরবে ১-২৪ পর্যন্ত একক বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়া আগের নিয়মে চালু রাখতে হবে। লাইসেন্স জামানতের লভ্যাংশ পূর্বের নিয়মে বহাল রাখতে হবে এবং পে-অর্ডারের মাধ্যমে জামানত ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।

এ ছাড়াও রয়েছে— শুধু কর্মীর নিকটাত্মীয়ের দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে, এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি শুধু ঢাকায় করতে হবে। সৌদি আরবসহ সব দূতাবাসে সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অভিবাসন সেক্টর ও দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত করতে হবে বৈধ অভিবাসনের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং বিশ্বের সব দেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার জন্য অবিলম্বে দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এই উদ্যোগই দেশের অর্থনীতি, প্রবাসী কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহের পুনর্জাগরণের মূল চাবিকাঠি। কোনো দেশেই একক এজেন্সির (যেমন BOESL) মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ বাধ্যতামূলক করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *