‘…ইউ নিড গুড অ্যাটর্নি। আমরা সবসময় এগুলা হেল্প করে থাকি এবং ইউ নিড।’
অ্যামেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ অনেক দেশের গ্রিন কার্ডধারীর কাছে নোটিশ টু অ্যাপিয়ার তথা এনটিএ পাঠিয়েছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে এসব অভিবাসী নিজেদের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস বজায় রাখতে কী করবেন, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। আইন ও বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।
টিবিএন: বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের যে সমস্ত ব্যক্তিদের, এই গ্রিন কার্ডধারীদেরকে নোটিশ যারা পেয়েছেন বা ভবিষ্যতেও হয়তো অনেকেই পাবেন। তো তাদের ক্ষেত্রে কী ধরনের বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে? তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য কী ধরনের আইনি প্রস্তুতি নিলে এই আদেশ থেকে বা এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা কিছুটা স্বস্তি বা এখানে থেকে যাওয়ার মতো তাদের পরিস্থিতি…
মঈন চৌধুরী: রানা ভাই, ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবারও। সুন্দর প্রশ্ন করেছেন।
এটার প্রথমত হচ্ছে আমরা যে বাংলায় কথা বলি, ‘কানা মনে মনে জানা’, এটা ছোটবেলাতে শুনে আসছি। সে কিন্তু জানে সে দোষটা কোথায় করেছে। সে জানে সে কী করেছে। সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।
এখন থেকে যারা কাজ করছেন, তারা আশা করি মিথ্যা কোনো তথ্য দেবেন না এবং জাল কোনো কাগজ বানিয়ে আনবেন না। অনেক সময় দেখা যায় যে, একই জায়গা থেকে একই অফিস থেকে সব কাগজগুলা প্রিন্ট হচ্ছে। এগুলা কিন্তু অনেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এইখান থেকে আপনি যদি কাগজ প্রিন্ট করেন, দেশের কোনো কাগজ মনে হচ্ছে রিয়েল, কিন্তু অ্যামেরিকা কিন্তু ধরতে পারতেছে। একই লোকের স্বাক্ষর আপনি নকল করলেন, এগুলো তারা ধরা পাড়তেছে এখন। দিস ইজ ভেরি ব্যাড। কারণ টেকনোলজি যত আপগ্রেড হচ্ছে, তত ক্রাইম আপনারা করতে পারবেন না।
যেমনটা সবসময় বলে থাকি, টেকনোলজির কারণে অনেকে ধরা খাচ্ছে এখন। সো যেই কথাটায় আপনি ছিলেন যে, তাদের করণীয় কী।
প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তারা কীভাবে এই প্রথম ডেটটাকে বলা হয় মাস্টার হেয়ারিং, কীভাবে তার অন্যান্য কেসের মতোই যারা আপনার অ্যাসাইলাম ফাইল করে অথবা বিয়ের কেস নেওয়ার পরে কোর্টে যায়, সেম প্রসেসটা একটা মাস্টার হেয়ারিং।
প্রথম হেয়ারিংটার ডেটটাতে আপনারা যাবেন…অ্যার্টর্নি নিয়া গেলে সবচেয়ে ভালো। তার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, শোনাবে। শোনানোর পরে সে হয়তো নট গিল্টি, নট রেসপন্সিবল বলবে। সেটা অ্যাডমিট করতে পারে, ডিনাই করতে পারে। ডিপেন্ড করে সিচুয়েশনের ওপর।
এ ক্ষেত্রে আপনাদের উচিত হবে যদি আগের কোনো থাকে ফাইলটা, নিজের কাছে নিয়ে আসা এবং একটু রিভিউ করা আপনার কী ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। দেন ইউর লইয়ার হ্যাভ এ চান্স ফর ইন্ডিভিজুয়াল ট্রায়ালের।
ট্রায়ালে গেলে আমরা আমরা আপনাকে বলতে পারব কোথায় আপনি ভুল করেছেন, কী প্রশ্ন আসতে পারে এবং যদি কারও কোয়ালিফাইড পিটিশন থাকে, যদি কারও ধরেন এখানে গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরে…আপনি হয়তো পাঁচ বছরের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন, কোনো…নাগরিক হন নাই এবং আপনার ছেলেমেয়ে হয়তো সিটিজেন হয়ে গেছে।
এ ক্ষেত্রে ওয়াইফ সিটিজেন হয়ে গেছে। দিস ইজ দ্য প্লাস পয়েন্ট। আপনার ওয়াইফ সিটিজেন হয়ে থাকলে বা ছেলেমেয়ে কেউ যদি একুশ এর ওপরে সিটিজেন আছে, তারা কিন্তু আপনার জন্য আবার নতুন করে অ্যাপ্লাই করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে দেখবে আপনি কতটুকু গুরুতর অপরাধ করেছেন।
এটা কি ওয়েভ করার মতো কি না। এ ক্ষেত্রে ওয়েভার ফাইল করা যেতে পারে, তবে ইউ নিড গুড অ্যাটর্নি। আমরা সবসময় এগুলা হেল্প করে থাকি এবং ইউ নিড।
আপনারা যখন এসব কাজে আসেন, তখন চিন্তা করেন, কত টাকা লাগবে। একটু সামান্য কম টাকা চলে যান এখানে। তারপরে সস্তার তিন অবস্থা হয়।
