November 6, 2025
এতিম-শিশু

বান্দরবানে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছয়জন এতিম শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনীসশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে রুমা, রোয়াংছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব এতিম শিশুদের অভিভাবকরা নিহত হয়েছেনএছাড়াও অসুস্থ হয়েও কারও কারও অভিভাবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে জেলা সেনানিবাসে শিশুদের অভিভাবকদের হাতে এক বছরের লেখাপড়ার খরচ ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

সেনাবাহিনী জানায়, বুধবার সকালে বান্দরবান সেনানিবাসে ছয় শিশুর অভিভাবকদের হাতে এক বছরের লেখাপড়ার খরচ ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা (জিএসও ২) মেজর পারভেজ রহমান।

২০২৩ সালে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির পাইক্ষ্যং পাড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন ক্রীস্টিনা বমের পিতা লাললক লিয়ান বম। আর্থিক সংকটের কারণে চার বছরের শিশুর পড়ালেখা করার কোনো উপায় ছিল না। অন্যদিকে রুমা উপজেলার রনিন পাড়ায় পাঁচ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান লালরাউ সাং-এর পিতা। শিশুটির মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। শিশুটি এখন এতিম। তার পড়ালেখাও বন্ধ।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সেনাবাহিনী বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিব ইবনে রেজোয়ান এলাকা পরিদর্শনে গেলে এতিম শিশুদের দেখা পান। তিনি তাদের খোঁজখবর নেন এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।

মেজর পারভেজ রহমান বলেন, এই এতিম শিশুরা যাতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য তাদের প্রাথমিকভাবে এক বছরের খরচ ও শিক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। শুধু এতিম শিশুদেরই নয় দুর্গম এলাকায় যেসব লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরও নানাভাবে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। এদিকে অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গরিব অসহায় দুঃস্থদের মাঝে সেলাই মেশিন, ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *