হাউজিং ও কমিউনিটি বিষয়ক ইস্যুগুলোতে মামদানির বক্তব্যে তার প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট জোরান মামদানি। নিউইয়র্কের ১১১তম মেয়র মামদানির সাফল্যের আড়ালে রয়েছে একটি নাম রামা দুয়াজি।
তিনি আর কেউ নন বরং জোরান মামদানির স্ত্রী । জনসমক্ষে খুব কম দেখা গেলেও মামদানির প্রচারণার কৌশল, ডিজাইন এবং বার্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দুয়াজি।
মেয়র হিসেবে নিজের ভূমিকা জন সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে মামদানির প্রচারণার ছিল ভিজ্যুয়াল পরিচয় ও ডিজিটাল বার্তা। এতে দুয়াজির অবদান ছিল মুখ্য। স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে ডাকেন ‘নীরব স্থপতি নামে।’
সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া রামা দুয়াজি শৈশবে কিছু সময় কাটিয়েছেন দুবাইয়ে। পরে নিউ ইয়র্কে স্থায়ী হন। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ও সিরামিক শিল্পী। তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউ ইয়র্কার ও দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে। তার সিরামিকস শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে।
রামা দুয়াজিকে কখনো মঞ্চে দেখা যায়নি। না কখনও দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও সক্রিয় নন তিনি। রাজনীতি হওয়া উচিত ভাবনা ও কাজের মাধ্যমে, ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে নয় এই নীতিতে বিশ্বাসী দুয়াজি শুধু প্রচারণার ডিজাইন নয়, নীতিগত বার্তা তৈরিতেও পরামর্শ দেন। হাউজিং ও কমিউনিটি বিষয়ক ইস্যুগুলোতে মামদানির বক্তব্যে তার প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
রামা দুয়াজি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, জোহরান মামদানির রাজনীতিতে তার চিন্তা, নান্দনিকতা ও প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
১৯৯৭ সালের ৩০ জুন টেক্সাসের হিউস্টনে জন্মগ্রহণ করেন দুয়াজি। তার বাবা-মা মূলত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দা এবং মুসলিম।
দুয়াজি ও মামদানি ২০২১ সালে ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জের মাধ্যমে পরিচিত হন। এরপর তারা ২০২৪ সালের অক্টোবরে বাগদান সম্পন্ন করেন, এবং ডিসেম্বরে দুবাইয়ে তাদের নিকাহ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক সিটি হলে একটি তাদের সিভিল বিয়ে সম্পন্ন করেন, এবং জুলাই এ উগান্ডায় তারা জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
