কমোডটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যামেরিকা’, যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে। এটি নতুন করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে অন্য কারণে। আর তা হলো বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হচ্ছে বস্তুটি।
মলমূত্র ত্যাগের জন্য ব্যবহার্য কমোডটি কেমন হওয়া চাই? উত্তরে হয়তো অনেকে বলবেন, পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত ওআরামদায়ক, তবে এ তিন চাহিদার সঙ্গে ভিন্ন কিছু যোগ করতে চেয়েছেন ইতালির এক শিল্পী, যিনি কমোড তৈরি করেছেন সোনা দিয়ে।
কমোডটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যামেরিকা’, যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় বিশ্বজুড়ে। এটি নতুন করে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে অন্য কারণে। আর তা হলো বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হচ্ছে বস্তুটি।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, কমোডটি তৈরিতে লেগেছে ১৮ ক্যারেটের ১০০ কেজি সোনা। প্রখ্যাত নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবি’স ১৮ নভেম্বর নিলমে তুলবে কমোডটি। এতে সোনায় মোড়ানো বস্তুটির শুরুর দাম ধরা হবে ১০ মিলিয়ন তথা এক কোটি ডলার।
কমোডটির বর্তমান মালিক বিনিয়োগকারী ও বেসবল টিম মেটসের সত্ত্বাধিকারী স্টিভ কোহেন। তার কাছে ২০১৭ সালে এটি বিক্রি করেন সমসাময়িক শিল্প নিয়ে কাজ করা ইতালির শিল্পী মাওরিজিয়ো ক্যাটিলেন।
কমোডটির নাম অ্যামেরিকা কেন?
স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এ কমোডটি মূলত ক্যাটিলেনের তৈরি এক ব্যাঙ্গাত্মক শিল্পকর্ম। যার মাধ্যমে তিনি অ্যামেরিকার পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী মানসিকতার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তার মূল বক্তব্য ছিল মৌলিক প্রয়োজনীয় বস্তুও এখন অনেকের কাছে বিলাসী সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে।
এটিকে অ্যামেরিকার বিকৃত স্বপ্নের স্বরূপ আখ্যা দিয়ে নাম রাখা হয় ‘অ্যামেরিকা।’
কমোডটির দ্বিতীয় একটি সংস্করণ ২০১৬ সালে সলোমোন আর গুগেইনহাম জাদুঘরে রাখা হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বাড়ির জন্য ভিনসেন্ট ভ্যান গগের একটি চিত্রকর্ম চেয়েছিল। তখন কর্তৃপক্ষ উপহাস করে কমোডটি দেওয়ার আহ্বান জানায়।
২০১৯ সালে জাদুঘরে সংরক্ষিত টয়লেটটি ইংল্যান্ডের ব্লেইনহেম প্যালেসে প্রদর্শনের জন্য নেওয়া হলে সেখান থেকে চুরি হয়। পরে সেটি অক্ষত উদ্ধার করা যায়নি।
বর্তমানে কোহেনের মালিকানাধীন কমোডটিই সংরক্ষিত আছে।
