সিসিটিভির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আত্মহত্যার আগে ক্লাস শিক্ষকের কাছে পরপর দুবার কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় আমায়রাকে, কিন্তু ওই শিক্ষক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
যে স্কুল, সহপাঠী হতে পারত আশ্রয় ও বিকাশের উপলক্ষ, তারাই হলো ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীর আত্মহননের কারণ।
ভারতের জয়পুরে সহপাঠীদের উৎপীড়নের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আমায়রা।
এনডিটিভি জানায়, নিরজা মোদি স্কুলের মাঠ থেকে পহেলা নভেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্কুলের একটি ভবনের চার তলা থেকে ঝাঁপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় সন্তান হারানো মা-বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে এক বছর আগের একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেন নিহতের মা শিবানি মিনা।
ওই রেকর্ডে আমায়রাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি স্কুলে যেতে চাই না, আমাকে স্কুলে পাঠিও না।’
মিনা জানান, সহপাঠীদের উৎপীড়নে মেয়ের মনের অবস্থা জানাতে অডিও বার্তাটি রেকর্ড করে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষকদের কাছে, কিন্তু বারবার বিষয়টি অবগত করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ভুক্তভোগীর বাবা বিজয় মিনা তুলে ধরেন প্রত্যক্ষ এক অভিযোগ।
বিজয় জানান, এক অভিভাবক বৈঠকে তার সামনেই মেয়েকে উৎপীড়ন করছিল কয়েকজন সহপাঠী। ক্লাসের একজন ছেলে সহপাঠীর নাম জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মেয়ে তখন আশ্রয় নেয় বাবার পেছনে।
এ ঘটনা শিক্ষকদের জানানো হলে তারা আমায়রার আচরণগত দোষ ধরেন বলে অভিযোগ করেন বিজয়।
সিসিটিভির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আত্মহত্যার আগে ক্লাস শিক্ষকের কাছে পরপর দুবার কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে যায় আমায়রা, কিন্তু ওই শিক্ষক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
শ্রেণিকক্ষের সিসিটিভি ফুটেজের অডিও সংরক্ষিত থাকার নির্দেশনা থাকলেও ভিডিওটির অডিও রেকর্ড দিতে অপারগতা প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জয়পুরের ডেপুটি কমিশনার রাজর্ষি রাজ বার্মা বলেন, ওই ছাত্রীর মা-বাবার বিবৃতি নেওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
