ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মামদানির বিরোধীদের সহায়তা ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন চালাতে কমপক্ষে ২৬ বিলিয়নেয়ার ও ধনী পরিবার সামষ্টিকভাবে ২২ মিলিয়ন তথা দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করে।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে এবারের সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জীবনযাপনের ব্যয়। সেটিকেই প্রচারের সামনে রাখেন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী জোরান মামদানি।
নগর পরিচালিত মুদি দোকান, বিনা মূল্যে গণপরিবহনে চলাচল ও শিশুর যত্নে সরকারি সহায়তার মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে জয়ী হন এ তরুণ রাজনীতিক, কিন্তু চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করে ব্যালটে জয় নিশ্চিত করা সহজ ছিল না ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে জয়ী প্রার্থীর।
অ্যামেরিকার শীর্ষস্থানীয় ধনী কিছু ব্যক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মামদানির বিরোধীদের সহায়তা ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন চালাতে কমপক্ষে ২৬ বিলিয়নেয়ার ও ধনী পরিবার সামষ্টিকভাবে ২২ মিলিয়ন তথা দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করে।
সাময়িকীটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামদানিবিরোধী শিবিরে অর্থদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ব্লুমবার্গ এলপির সহপ্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং লডার পরিবারের সদস্য ও এস্টি লডারের উত্তরাধিকারীরা।
তাদের প্রত্যেকে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে সমর্থনকারী স্বতন্ত্র ব্যয় কমিটি ও সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিগুলোকে কমপক্ষে এক লাখ ডলার করে দেন।
ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে কুওমোকে সমর্থন দিতে মাইকেল ব্লুমবার্গ একা ব্যয় করেন আট মিলিয়ন বা ৮০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে অ্যাকম্যান দেন এক দশমিক ৭৫ মিলিয়ন। তাদের বাইরে লডারের দেওয়া অর্থের পরিমাণ সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে মামদানি ২৪ জুন দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করার আগেই তার বিরোধী শিবিরে যায় দাতাদের দেওয়া অর্থের অর্ধেকের বেশি তথা ১৩ দশমিক ছয় মিলিয়ন ডলার।
