নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর সামনে একটি গাড়িতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের গাড়িতেও আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কে ছড়িয়ে ছিল মানব শরীরের অংশ-অঙ্গ। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানা নম্বর প্লেটের গাড়িটি হিউন্দাই আই২০ মডেলের। বিস্ফোরণের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনাস্থলের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিফ করেছেন। ঘটনাস্থলে বহু অ্যাম্বুলেন্স ও ফরেন্সিক দল কাজ করছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, ‘বিস্ফোরণে একজনের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, আরেকজনের একটি হাত পড়ে থাকতে দেখেছি সড়কে।’
জানা গেছে, সড়কে গাড়ি বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনের জানালা-দরজাও কেঁপে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দের তীব্রতায় কানে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। আমরা জীবনে এমন ভয়াবহ কিছু দেখিনি।’
এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদে দুটি বাসাবাড়ি থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ডেটোনেটর, টাইমারও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জেএম (জইশ-ই-মোহাম্মদ) সমর্থক সন্দেহে দুই চিকিৎসক-আদিল রাঠার ও মুজাম্মিল শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে ও গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ, জয়পুর এবং উত্তরাখণ্ডে উচ্চ সতর্কতা জারি করা করা হয়েছে।
